দিতি আহমেদ:ঢাকা::করোনাভাইরাসের কারণে হঠাৎ সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের ফলে বিপদে পড়া বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপহার সামগ্রী (ত্রাণ) পৌঁছে দিয়েছে কেরানীগঞ্জ এলাকার একদল তরুণ। কেরানীগঞ্জ গ্র্যাজুয়েট সোসাইটি (কেজিএস) এর ব্যানারে তারা তাদের এলাকার শিক্ষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপহার দেয়ার কাজটি করেন।
কেজিএসের উদ্যোক্তা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব ম ই মামুন বলেন, সবার সাথে সবার পাশে স্লোগান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে কেজিএস। কেরানীগঞ্জের শিক্ষিত তরুণদের একত্র করে মানুষের কল্যাণে কাজ করাই এ সংগঠনের মূল লক্ষ্য। ইনশাআল্লাহ পরিস্থিতি সাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেবার কাজ অব্যাহত থাকবে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেন, আবেগ আর অনুভূতির অপর নাম ম,ই,মামুন, তাঁর উদ্যোগে আলোর নিচের অন্ধকারকে দূর করার জন্য আমরা কেরানীগঞ্জের পিছিয়ে পড়া সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এই বৈষয়িক মহামারীর সময়ে আমাদের সংগঠনের সকল সদস্য করোনা ভাইরাসকে উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত মানুষের সেবা করে যাচ্ছে।’ তাদের মধ্যে কয়েক জনের নাম উল্লেখ না করলে নিজেকে অপরাধী মনে হবে। মাজেদুর রশিদ ইমন, শহিদুল ইসলাম,মেম্বার রাসেন, ইকবাল মাহমুদ, ফাহমিদা মনি, সাদ্দাম হোসেন, তুহিন মৃধা সাগর, নিত্য গোপাল, তুষার, আনিস, শামীম, গোপাল চন্দ্র, পলাশ, সুকান্ত, রিজভী, উত্তম,শরিফ, রাহাত,
সিনিয়র সহ সভাপতি জাকির আহমেদ বলেন আমারা গ্র্যাজুয়েটরা কেরানীগঞ্জের তরুন প্রজন্মের উজ্জ্বল নক্ষত্র, আমাদের সবার প্রিয়
জনাব ম. ই. মামুন ভাইয়ের ডাকে একই পতাকা তলে আবদ্ধ হয়ে প্রত্যেকে আমরা পরের তরে কাজ করে যাচ্ছি যা প্রতিটি কাজই আমাদের আনন্দ দেয় এবং কেরানীগঞ্জ বাসিও উপকৃত হয়।
কেজিএস সদস্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মাহমুদুল হাসান রাহাত বলেন, ‘কেজিএস একটি মানবিক সংগঠন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষকের বাড়ি বাড়ি উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া অনন্য একটি উদ্যোগ। মানুষের কল্যাণে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে এ সংগঠনটি।
কোন্ড ইউনিয়নের সমন্বয়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন কে,জি,এস, মানে ম,ই,মামুন ভাইয়ের আদর্শে গড়া একটি সংগঠন। তার আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে বিভিন্ন সংকটে কেরানীগঞ্জবাসির সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পেয়ে গর্ব বোধ করছি।
তেঘুরীয়া ইউনিয়নের সমন্বয়ক প্রভাষক হাফিজুর রহমান তুষার বলেন বৈষয়িক করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সংকটে কেজিএস এর ব্যানারে শিক্ষকদের পাশে দাড়াতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমি গর্বিত কেজিএস পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে।
এ প্রসঙ্গে বড়িশুর আঞ্চলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র বাংলা শিক্ষক মনীন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘কেজিএসের প্রতিটি উদ্যোগ একটি ব্যতিত্রুমধর্মী মাত্রা বহন করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু শিক্ষকের সংকটকাল চলছে। এ অবস্থায় সোসাইটির এ কর্মকাণ্ডে সত্যি উপকৃত হয়েছি। আমরা চাই সমাজের আরও যারা সচেতন মানুষ আছে তারাও তাদের এ মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাবে এবং একাত্মতা প্রকাশ করবে।’
(Visited ২২৩ times, ১ visits today)