বরিশালে করোনা সংক্রমণ এড়াতে সরকারি স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে পৃথক দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান পুলিশের সহায়তায় এবং অপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম র্যাবের সহায়তায় শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় করোনা এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করার পাশাাপশি মাস্কহীন জনগণের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানকালে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ২৭ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করেন পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান জানান, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে নগরীর কাশীপুর বাজার প্রায় স্বাভাবিকভাবে চলছিলো। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালালে মুহূর্তের মধ্যে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে সটকে পড়লেও ৪টি দোকান মালিককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তারা। এ সময় স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করার দায়ে ওই ৪ দোকান থেকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
একই সাথে বাজার কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারিকে ডেকে সরকারি স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে মুদি এবং ওষুধের দোকান ব্যতীত অনান্য সকল দোকান বন্ধ রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও নজরদারি এবং বাজারের মাইকে এ বিষয়ে কিছুক্ষণ পর পর ঘোষণা দেওয়ার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরে সাগরদী ধান গবেষণা রোডে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখতে পান প্রধান সড়ক এড়িয়ে গলি সড়ক দিয়ে ৫/৬জন যাত্রী নিয়ে অটোরিকশা চলছে। এ সময় বেশ কিছু অটোরিকশা থামিয়ে একজন দুইজন বাদে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে অটোরিকশা চালকদের সতর্ক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সড়কে এক স্বর্নকারের দোকানে ৬/৭জন চা পান করছিলেন।
বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের নজরে আসলে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার পাশাপাশি দোকান মালিক স্বর্ণকারকে ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন স্থানে টিসিবি পন্য কিনতে শারীরিক দূরত্ব অনুসরণ না করে লাইনে দাড়ানো মানুষকে সচেতন করেন এবং তাদের নির্দিস্ট দূরত্বে দাঁড় করিয়ে দেন।
অপরদিকে মো. সাইফুল ইসলামের ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় ৩টি দোকান থেকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।