বরিশালে করোনা ভাইরাসের লক্ষন দেখা দেওয়ায় চলছে লক ডাউন। লক ডাউনে যেন ‘ভূতুড়ে শহরে’ পরিণত হয়েছে পরিচিত বরিশাল শহর। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে নিশ্চুপ হয়ে গেছে শহরটি। অনেকেই শহর ছেড়েছেন, অনেকেই শহরে ঘরবন্দি।
এ সময় নগরবাসীকে নিরাপদে রাখার তাগীতে বাহিরে থাকতে হচ্ছে অনেক পুলিশ সদস্যদের। বরিশাল নগরীর প্রায় ১৮ থেকে ২০টা পয়েন্টে ডিউটি পালন করেন পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
লক ডাউনে শহর অচল। দোকানপাট বন্ধ। এ সময় ডিউটিরত অবস্থায় অনেকটা খাবার সংকটে পড়েছে পুলিশ সদস্যরা।
এ সকল পুলিশ সদস্যদের কথা মাথায় রেখে বরিশাল নগরীর ১৫ ও ২২ নং ওয়ার্ডের একদল তরুণ উদ্যোগ গ্রহন করেন। নিয়াজ মোর্শেদ আবির এর উদ্যোগে সাকিব ভূইয়া, রাব্বি, আরমান, অনিক, সাকিল, রোমান মিলে পুলিশ সদস্যদের জন্য নাস্তার ব্যবস্থা করেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর জেলখানার মোড়, নতুল্লাবাদ, রুপাতলীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে ১৪০ জন পুলিশ সদস্যকে তারা নাস্তা প্রদান করেন।
এ সময় পুলিশ সদস্যরা বলেন, করোনার প্রভাবে বরিশালে সব দোকান বন্ধ। আগে ডিউটিরত অবস্থায় হাল্কা নাস্তা করা গেলেও এখন তা অসম্ভব। এ সময় তরুণদের উদ্যেগে নাস্তা পাওয়াটা আসলে আনন্দের। এই সকল তরুণদের ধন্যবাদ যারা আমাদের কথা চিন্তা করেছেন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাকিব ভূইয়া জানান,আমরা নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে ১৪০ জন পুলিশ সদস্যকে নাস্তা প্রদান করেছি।এসময় পানি,জুস,ড্রাইকেক,রুটি,ফল ও একটা স্যালাইনেট প্যাকেট তাদের প্রদান করা হয়। ভবিষ্যতে আমরা আমাদের এই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাকিল জানান, আমারা নিজেদের জমানো টাকা দিয়ে এই উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করেছি। আমরা অতীতেও এমন অনেক উদ্যোগ গ্রহন করে বাস্তবায়ন করেছি। এ সময় প্রতিটি তরুনদের উচিত দেশের জন্য এই মুহুর্তে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করা।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও কার্যক্রমের উদ্যোক্তা নিয়াজ মোর্শেদ আবির জানান, বর্তমানে দেশে করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশ ও ডাক্তাররা অগ্রভাবে থেকে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
তাদের দেশের জন্য এই কাজকে সাধুবাদ জানানোর জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।এছাড়া এর আগেও আমরা কর্মহীন ও অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেছি। এছাড়া পথশিশুদের নিয়ে কাজ করেছি। করোনার এ সময় এভাবে সবাই সবার স্থান থেকে এগিয়ে আসবে এটাই কাম্য ।