একজন জুমলা ডিজাইন স্পেশিয়ালিস্ট হয়ে আমাদের বর্তমান অনলাইন সিকিউরিটি সিস্টেম সম্পর্কে বলছি, অনেকেরই যা অজানা থাকতে পারে। আপনার মতবিরোধী কোন ফটো দেখলে ফটোতে ক্লিক করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানান। তারা এর উপযুক্ত ব্যাবস্থা নিবে। অনলাইন প্রযুক্তি আমাদের সবারই নিয়ন্ত্রনের বাহিরে। এর উদ্ভাবনের শেষ নেই, না শেষ আছে সিকিউরিটি। ফেসবুক বাংলাদেশে সকল গ্রেডের মানুষ ব্যাবহার করে। এটা ভাবা ঠিক নয় যে সবাই ফেসবুক চালানোর নিয়ম, সিকিউরিটি, প্রাইভেসি সম্পর্কে জানে।
আমার যৌক্তিকতা তুলে ধরছি: *আমাদের দেশে অনেকেই মোবাইল নম্বর দিয়ে এ্যকাউন্ট খুলে সেই মোবাইল নম্বরটাকেই পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যাবহার করতে পারে। ফলে সহযেই তার প্রোফাইলে অন্য কেই এ্যাক্সেস করতে পারছে। *সাইবার ক্যাফেতে হয়ত কেউ ভূল করেই লগ আউট দেয়নি। পরবর্তী ইউজার তার প্রোফাইলে এ্যাক্সেস করতে পারছে। *নিজের মোবাইল ফোনটা, ল্যপটপ, চুরি হলে চোরে সহযেই ইউজারের প্রোফাইলে ঢুকতে পারছে।
হ্যা, আমি ফেসবুকে কঠিন সিকিউরিটি সিস্টেম ব্যাবহার করছি, হয়ত হ্যাকাররা সেই সিকিউরিটি সিস্টেম ব্রেক করে দিয়েছে।। তা গ্রাহকও জানতেও পারল না। যার কারনে আমার ধারনা, ফেসবুক পার্সোনাল প্রাফাইল আমাদের নিয়ন্ত্রনের বাহিরে!!! তবে আমি ধারনা করি কিছু প্রযুক্তি আজো আমাদের অনলাইন জগৎকে সুরক্ষিত রেখে আসছে। যেমনঃ 1। নাম, জন্ম তারিখ ভেরিফিকেশন 2। ওয়ার্ড বা গ্রাহকের দেয়া কোন গোপন শব্দ ভেরিফিকেশন 3। ফটো ভেরিফিকেশন। (ফেসবুক) 4। লগ ইন এলার্ট (ফেসবুক) 5। বর্তমান জনপ্রিয়তার তুঙ্গে যা তা হল টু স্টেপ ভেরিফিকেশন। (ফেসবুক) 6। ইউ আর এল কনভার্ট (যা সাধারনত এডমিন প্যানেল থেকে অন্য কোন ইউআরএলে ইউজারকে পাঠানো হয়। ফলে এডমিন প্যানেল সুরক্ষিত থাকে। 7। ইউজার লগড। ইউজার নির্দিস্ট বারের বেশি পাসওয়ার্ড দিতে পারবেনা। দিলেই ইউজার লগড বা ব্লক হয়ে যায়। 8। ব্রাউজার ব্লকিং। শুধুমাত্র গ্রাহকের ব্রাউজার দিয়ে এডমিন প্যানেলে এ্যাক্সেস করা যায়, বাকি সকল ব্রাউজার ব্লক থাকে। 9। ভোটার আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন (ফেসবুক) তারপরেও আমি জানিনা সোস্যাল মিডিয়ায় আমাদের পার্সোনাল এ্যাকাউন্ট কতটুকু নিরাপদ।
মোঃ আসাদুজ্জামান., গ্রাফিক, জুমলা ডিজাইন স্পেশিয়ালিস্ট, ডিজাইনার- স্কিল ডিজাইনস্ ।