বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। দেশেও বন্ধ রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, ব্যাংক-বীমাসহ সব অফিস-আদালত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘর থেকে বের হতে পারছে না মানুষ। নেই কোনো কাজ, নেই আয়ের উৎস। এ অবস্থায় নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েক গুণ।
এ পরিস্থিতিতে রংপুরের পীরগাছায় সন্তান জন্ম দিয়ে অনাহারে ছিলেন আশিনুর নামে এক প্রসূতি। আর এ খবর পেয়ে রাতেই খাবার নিয়ে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমীন প্রধান।
শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড় পানসিয়া গ্রামে গিয়ে ওই প্রসূতিসহ আশেপাশের ২০টি পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলুসহ ১০ দিনের প্রয়োজনীয় খাবার তুলে দেন ইউএনও।
ইউএনও জানান, রাত ৮টায় ওই এলাকার কিছু হিজড়ার মাধ্যমে জানতে পারেন যে, শনিবার সকালে বড় পানসিয়া গ্রামের এক নারী তার মায়ের বাড়িতে থেকে ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তার স্বামী অন্যত্র আরেকটা বিয়ে করে সেখানেই থাকেন। স্ত্রীর কোনো খোঁজখবর নেন না। এদিকে সন্তান জন্ম দেয়ার পর থেকে অনাহারে আছেন ওই প্রসূতি। এমন খবর পেয়ে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ওই প্রসূতির বাড়িতে ছুটে যান তিনি।
ইউএনও আরও জানান, ওই প্রসূতির মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার পরিচালনা করেন। করোনাভাইরাসের কারণে কাজ বন্ধ থাকায় বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। এদিকে তার মেয়ে সন্তান জন্ম দেয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ে পরিবারটি। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার তুলে দেয়ায় ওই পরিবারটি আপাতত কিছুটা উপকৃত হলো।
জাতীয় এই দুর্যোগময় সময়ে এমন অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ইউএনও জেসমীন প্রধান।