প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা বিনা অপরাধে কারাগারে আটক রয়েছেন তারা সংশ্লিষ্ট আটককারী কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে। এ ছাড়া যদি কেউ রাষ্ট্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে তবে আইনে সে বিধানও রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আটক অপরাধীদের পরিসংখ্যান নিয়ে তাদের বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে।’
বুধবার (৮ মার্চ) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে নূরুল ইসল মিলনের (কুমিল্লা-৮) টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেছেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন বিকেল ৩টা ২২ মিনিটে সংসদের কার্যক্রম শুরু হয়।
লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানিয়েছেন, যারা কারাগারে আটক রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান আছে। এসব মামলা তদন্তাধীন পর্যায়ে থাকতে পারে বা বিচারিক পর্যায়েও থাকতে পারে। বিচারিক পর্যায়ে দীর্ঘসূত্রতা থাকলে এসব মামলায় কারাগারে আটক ব্যক্তিদের জামিনে মুক্তি প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা সংশ্লিষ্ট বিচারকের এখতিয়ারাধীন। সরকার এসব মামলা দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছে। এসবের মধ্যে রয়েছে দ্রুত বিচার আদালত ও ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ মামলার বিচার কার্য ত্বরান্বিত করার জন্য বিভিন্ন অবকাঠামোগত এবং সংস্কারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। এ ছাড়াও অপরাধীরা যাতে বিনা বিচারে দীর্ঘদিন আটক না থাকে সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার তাদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন ধরে আটক অপরাধীদের সংখ্যা জানার জন্য পরিসংখ্যান নিয়ে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে।
সংসদ নেতা বলেছেন, ‘আমি জেলে থাকা অবস্থায় জানতে পারি যে, অনেক মানুষ বিনা অপরাধে জেলে আটক অবস্থায় আছে। এ সকল ব্যক্তিদের অবিলম্বে জেল থেকে মুক্ত করা প্রয়োজন। কিছু এনজিও এবং সরকারি জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে এইব আটক ব্যক্তিদের কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া চলমান আছে।’