বরিশালে নগরীতে জেলা প্রশাসকের দুটি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে ১৬ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (৪ই) এপ্রিল সকাল থেকে জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমানের নির্দেশে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন সড়কে ২ টি ভ্রাম্যমান মোবাইল কোর্ট টিম অভিযান চালান ।
এসময় মোবাইল কোর্ট নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অধিক মানুষের সমাগম করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা পালনের পাশাপাশি গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে প্রচার- প্রচারনার মাধ্যমে নগরবাশীর প্রতি আহবান জানান।
মোবাইল কোর্ট দুটির অভিযান পরিচালনা করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল হুদা ও মোঃ মারুফ দস্তেগীর। এসময় তারা নগরীর সদর রোড,নথুল্লাবাদ, চৌমাথা ও কাশীপুর, রুপাতলী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, কর্নকাঠী, তালুকদার হাট এলাকায় মোবাইল কোর্টের পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে গণসচেতনতা ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে বিভিন্ন টি-স্টল, মুদি দোকান ও এলাকার মোড়ে মোড়ে যেখানেই জনসমাগম দেখা গেছে তা ছত্রভঙ্গ করা হয় এবং নিরাপদ দূরত্বে চলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেই সাথে সবাইকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হয়।একই সময় সতর্ক করে বলা হয় এ আদেশ অমান্যাকরীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়।
মোবাইল কোর্ট টিমটি নগরীর রুপাতলী বাস স্টান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ টি চায়ের দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করে চা বিক্রয় করার অপরাধের সংক্রামক রোগ (নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর ২৪ ধারা অনুযায়ী চায়ের দোকান মালিক মোঃ ইউসুফ কে ২ হাজার টাকা এবং দুই জন ক্রেতা মাহবুব ও নাছির উদ্দিন কে ৫শত টাকা করে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই স্থানে মটর সাইকেলে দুই জন যাত্রী পরিবহন করার অপরাধের একই আইনে মোঃ কামাল কে ৫শত টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি দোকানে জনসমাগম করে আড্ডা দেয়ার অপরাধ একই আইনে রুহুল আমিন, মোঃ বেলাল হোসেন, মোঃ এনাম হোসেন নামের ৩ জনকে ৫শত টাকা করো ১৫শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অপরদিকে পোলের হাট বাজারে একটি অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার অপরাধে একই আইনে মোঃ মিরাজকে ৫শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মোবাইল কোট অভিযানে এখানে আট ব্যক্তি ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।