সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতা এইচ বি এম ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগম এবং তাদের দুই ছেলে ও মেয়েকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৮ মার্চ) আত্মসমর্পণ করার পর তাদের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহমান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) মামলায় সাবেক সাংসদ ইকবাল ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সাজা দিয়েছিলেন জজ আদালত। পরবর্তীতে হাইকোর্ট ইকবালকে খালাস দেন এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের রায় স্থগিত করেন। কিন্তু আপিল বিভাগ গতবছর ইকবালের স্ত্রী-সন্তানদের আবেদন খারিজ করে দিলে ওই চারজনের বিচারের বাধা কাটে। এর চার মাস পর বুধবার জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন ইকবালের স্ত্রী মমতাজ বেগম ডলি, ছেলে মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল ও মঈন ইকবাল এবং মেয়ে নওরীন ইকবাল।
শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে আসামিদের আইনজীবী প্রাণনাথ সংবাদিকদের জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, এইচ বি এম ইকবাল বেসরকারি ব্যাংক প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তার ছেলে ইমরান ইকবাল ওই ব্যাংকের একজন পরিচালক। আরেক ছেলে মঈন ইকবাল ও মেয়ে নওরীন ইকবালও একসময় ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন।
বিগত সেনা নিয়ন্ত্রত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৭ মে ইকবাল, তার স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যাবহারের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। পরের বছর ১১ মার্চ বিশেষ জজ আদালত এ মামলার রায়ে ইকবালকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। তার স্ত্রী ও সন্তানদের তিন বছর করে কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেন। ওই বছর ১৭ সেপ্টেম্বর ইকবালের ভাইয়ের আবেদনে হাই কোর্ট এ মামলায় জজ আদালতের দেওয়া রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন এবং ওই সাজা কেন বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।