বরিশালে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে অন্যান্য দিনের ন্যায় আজ ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসন বরিশালের পক্ষ থেকে বরিশাল নগরীতে ২ টি মোবাইল কোর্ট টিম অভিযান পরিচালনা করেন।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অধিক মানুষের সমাগম করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা পালনের পাশাপাশি গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে। জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল মোঃ নাজমূল হুদা এবং মোঃ মারুফ দস্তেগীর।
এসময় নগরীর সদর রোড, নতুল্লাবাদ, বিউটি রোদ ও কাশীপুর এলাকায় মোবাইল কোর্টের পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে গণসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উক্ত কার্যক্রম পরিচালনায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল মোঃ নাজমূল হুদা। এ সময় বিভিন্ন টি-স্টল, মুদি দোকান ও এলাকার মোড়ে মোড়ে যেখানেই জনসমাগম দেখা গেছে তা ছত্রভঙ্গ করা হয় এবং নিরাপদ দূরত্বে চলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি সবাইকে যৌক্তিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হয়েছে এবং এ আদেশ অমান্যাকরীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এসময় নথুল্লাবাদ এলাকায় একটি পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যানে যাত্রী পরিবহন করার দায়ে চালক নাইম রহমান কে সংক্রামক রোগ (নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর ২৪ ধারা অনুযায়ী ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রসিকিউসন অফিসার হিসাবে সহযোগিতা করেন ডাক্তার মুবিন সিভিল সার্জনের কার্যালয় বরিশাল।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও গণসচেতনতা কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭ম পদাতিক ডিভিশনের লেঃ ইয়াসির আরাফাত সহ তার টিম। অপরদিকে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বরিশাল মহানগরীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল মোঃ মারুফ দস্তেগীর।
এসময় তিনি নগরীর নতুনবাজার ও হাসপাতাল রোড সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধে সংক্রামক রোগ (নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর ২৫ ধারা লংঘনের অভিযোগে পপুলার সু কে ৩ হাজার টাকা এবং অন্য একটি দোকানকে ৫০০ টাকা। সর্বমোট ২ টি দোকানে ৩ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়।
এসময় প্রসিকিউশন প্রদান করেন উপ-পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম।তাছাড়াও নগরীর নথুল্লাবাদ, আমানতগঞ্জ, কাশীপুর, চৌমাথা, রূপাতলী এলাকায় বিভিন্ন টি-স্টল, মুদি দোকান ও এলাকার মোড়ে মোড়ে যেখানেই জনসমাগম দেখা গেছে তা ছত্রভঙ্গ করা হয় এবং নিরাপদ দূরত্বে চলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি সবাইকে যৌক্তিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হয়েছে এবং এ আদেশ অমান্যাকরীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দয় বলেন, জনগণকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমান সদা সচেষ্ট এবং তাঁর নির্দেশনায় নিয়মিত এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।