ঝিনাইদহের শৈলকুপায় একটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে লাল পতাকা বেঁধে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ওই বাড়ি ও তার আশপাশে চলাচল সীমিত করা হয়েছে। করোনাভাইরাস সন্দেহে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে আইসোলেশনে রাখার পর বাড়িটি লকডাউন করে পুরো পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রশাসন।
ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায়। শৈলকুপা উপজেলার কাজীপাড়ায় নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে গত ১৪ মার্চ ঢাকা থেকে কাজীপাড়ায় নানার বাড়িতে ফেরেন ওই শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী চিকিৎসককে জানিয়েছেন একজন চীনা নাগরিকের সংস্পর্শে ছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছেন; প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে সোমবার হাসপাতালে আসেন শিক্ষার্থী।
জেলা সিভিল সার্জন দুপুরে তাকে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত দিলেও কোনো অ্যাম্বুলেন্সচালক নিতে রাজি হননি। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করা হলেও ঢাকার আইইডিসিআর থেকে বলা হয় ওই শিক্ষার্থীকে ঝিনাইদহে আইসোলেশনে রাখতে। পরে তাকে ঝিনাইদহে আইসোলেশনে রাখা হয়।
তাকে দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থীর নানা বাড়িসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লকডাউন করা হয়।
শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, পৌর এলাকার কাজীপাড়ার একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ওই বাড়িতে বসবাসরত সাতজন সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওই বাড়ি থেকে যেন কেউ বের হতে না পারেন সেজন্য লকডাউন করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম বলেন, আইইডিসিআরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকার পরিবর্তে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়নে শিশু হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তার নমুনা পরীক্ষা করতে আইইডিসিআর থেকে বিশেষজ্ঞ দল আসবে।