জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু একজন বিচক্ষণ নেতা ছিলেন। তার ৭ই মার্চের ভাষণ যতো উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর কোনো ভাষণ এতো উচ্চারিত হয়নি। তিনিই একমাত্র নেতা ছিলেন, যিনি বলতে পেরেছিলেন, আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না।
জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেল ৫টা ৫মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।
বাংলাদেশের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণনেতা বলেন, আজকে সকল ক্ষেত্রেই পাকিস্তান থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরা ভারত থেকেও এগিয়ে। বাংলাদেশ পৃথিবীতে এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্যম আয়ের দেশ। আমাদের সময়ে যতো দ্রুততার সঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে, তা আগে হয়নি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক নেতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি আন্তর্জাতিক নেতাও।
এসময় গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণের কারণে দেশে দারিদ্র্য বিমোচন হয়নি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক বা ব্রাক ব্যাংক ঋণ দিলে মানুষ ঋণগ্রস্থ হয়। কিন্তু আমাদের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা জমা হয়। আমরা ৫০ লাখ লোককে ১০ টাকা করে চাল দিচ্ছি। সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলেই দেশে দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদের পরপরই রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রবীণ নেতা ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং জাতীয় পার্টির নেতা ও পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।