ভারতে মুসলমানদের উপর বর্বর নির্যাতন, গণহত্যা, মুসলমানদের ঘড়-বাড়ি, মাদ্রাসা-মসজিদ ও পবিত্র কুরআন শরীফ-এ অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে এবং বাংলাদেশে নরেন্দ্র মোদির রাষ্ট্রীয় আমন্ত্র বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সময় তারা বিভিন্ন প্লেকার্ড, ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে নরেন্দ্র মোদির কুশঃপূত্তলিকা দাহ করে।
আজ মঙ্গলবার (৩ই মার্চ) সকাল ১১ টায় বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে এ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নগরীর বাজার রোডের জামিয়া আরাবিয়া খাজা মঈন উদ্দিন মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আব্দুল হালীমের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভায় বক্তরা বলেন, মুসলিম হত্যাকারী সন্ত্রাসী গুজরাটের কসাই মোদিকে বাংলার মাটিতে সংবর্ধনা দেওয়া হলে এদেশের ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা মুসলিম সমাজ বুকের রক্ত দিয়ে মোদির আগমন প্রতিহত করবে।
এসময় তারা আরো বলেন, দেশের মুসলিম সমাজ যদি একবার জেগে উঠে তাহলে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে আছেন তারা কিন্তু মুসলমাদের প্রতিহত করতে পারবেন না।
তাই অবিলম্বে মোদিকে সংবর্ধনা দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। পাশাপাশি জাতীয় সংসদে এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রস্তাব পাশ করার আহবান জানান বক্তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাও: ওবাইদুর রহমান, বরিশাল মহানগর ইমাম সমিতি সভাপতি কাজী আব্দুল মান্নান, সাধারন সম্পাদক মাও: সামসুল আলম, মুফতি শাব্বির আহমাদ, মাও: আহমাদ আলী কাসেমী, মাও: রুহুল আমীন, মাও: রফিকুল ইসলাম, মাও: আব্দুল খালেক পীর সাহেব হরিণা ফুলিয়া, মাও: তৌফিকুল ইসলাম, মুফতি ওমর বিন নূরুল্লাহ্, মাও: আঃ রব ও মাও: রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এর পূর্বে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদরাসা থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মোদির কুশঃপূত্তলিকা, ফেস্টুন, ব্যানার ও প্লেকার্ড বহন করে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থল টাউন হলের সামনে সমবেত হয় তারা।
এক পর্যায় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা সদররোডে মোদির কুশঃপূত্তলিকায় অগ্নিসংযোগ করেন। পরে অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বর থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নগরীর সদররোড, ফজলুল হক এভিনিউ সড়ক, দক্ষিণ চক বাজার, লাইন রোড হয়ে পুনরায় সদররোড এসে শেষ হয়।