বরিশাল নথুল্লাবাদ বাস-টার্মিনাল এলাকায় মটর সাইকেল চালক শ্রমিক ইউনিট’র অভ্যান্তরীন দ্বন্ধ’র রেশ ধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর ছবি সম্বলিত একটি ব্যানার ছেড়ার মিথ্যা ধোয়া ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও ঘটনার আড়ালে ছিলো কমিটি মানা না মানা নিয়ে নথুল্লাবাদ মটর সাইকেল শ্রমিক ইউনিটের সদস্যদে’র মধ্যকার দু’পক্ষের হামলা ও মারামারি। অনুসন্ধানে জানা যায়,নথুল্লাবাদ মটর সাইকেল শ্রমিক ইউনিটের সাবেক সাধারন সম্পাদক জামাল হোসেনের সঙ্গে বর্তমান সাধারন সম্পাদক নান্টু’র মধ্যকার কমিটি নিয়ে দ্বন্ধ চলে আসছিল।
সাবেক সাধারন সম্পাকদক বর্তমান কমিটিকে মানতে নারাজ। সে সূত্র ধরে গত ২০ ফেব্রæয়ারী রাত ১১ টার দিকে উভয় নেতার মধ্যে কথা কাটাকটি হয়। ওই সময়ে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি সুমন হাওলাদার উভয়ের উত্তেজনা সামাল দিতে ঘটনা স্থলে গেলে সাধারন সম্পাদক নান্টুর নেতৃত্বে সুমন হাওলাদারকে বেধড়ক পেটানো হয়। সে সময় আজিম,হুমাযূন, মতিনসহ প্রায় ৩০/৪০ জনের একটি সন্ত্রাসি গ্রæপ ওই হামলায় অংশ নেয়। ওই হামলার দায় এড়াতে এবং প্রতিপক্ষ জামাল-সুমন-লিটনসহ বেশ কয়েক জনকে উল্টো ফাঁসানোর চেষ্টায় এয়ারপোর্ট থানায় মটর সাইকেল চালক শ্রমিক ইউনিটের ব্যানারে থাকা সাদিক আব্দুল্লাহর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলা হয়েছে অভিযোগ করেন বর্তমান সাধারন সম্পাদক নান্টু। এমনকি অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় মিথ্য তথ্য দিয়ে সংবাদও প্রকাশ করানো হয়। সাংবাদিকদের এমনই তথ্য দেন হামলার স্বীকার ভূক্তভোগি মটর সাইকেল চালক সুমন হাওলাদার ও লিটন। এ দুজনের ভাষ্য,নান্টুসহ হামলাকারীরা বিগত সময়ে বিএনপি করতো।
এখন মটর সাইকেল শ্রমিক ইউনিট দেখিয়ে পোষ্টার ব্যানারে আ’লীগ নতাদের ছবি লাগিয়ে উল্টো খোদ আ’লীগে কর্মিদের বিরুদ্ধে ছবি ছেড়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলে এলাকা ছাড়া করতে চাইছে। মটর সাইকেল চালক সুমন হাওলাদার আরো জানান,তার আপন ভাই শহিদুল ইসলাম ২৭ ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ছিলো। আমরা আ’লীগ পরিবারের সন্তান। বিএনপির আমলে তারা নির্যাতিত হয়েছেন। তার ভাই শহিদুলকে বিএনপি কর্মিরা কুপিয়ে মৃতপ্রায় করে রেখেছিল। অথচ নান্টুদের মতো বিএনপি থেকে ভেষে আসা দুর্বৃত্তরা আমাদের মতো দলীয় মাঠ কর্মিদেও বিরুদ্ধে ছবি ছেড়ার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে।খোজ নিয়ে জানা যায় হামলায় অংশ নেওয়া আজিম বিএনপির মিছিল সমাবেশে অংশ নেয়। বর্তমানে মটর সাইকেল চালক শ্রমিক ইউনিটের আড়ালে মেয়র সাদিকের নাম ভাঙিয়ে খোদ আ’লীগে কর্মিদের হয়রানী করছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অভিযোগ আসায় বিষয়টি সমাধান করতে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ স্থানীয় ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেনকে দ্বায়িত্ব দেন। তিনি জানান,সাদিক ভাইয়ের কোন ব্যানার ছেড়া হয়নি। বিএনপি পন্থী কিছু লোক সাদিক আব্দুল্লাহ ভাইয়ের অনুমতি ছাড়া মটর সাইকেল চালক শ্রমিকরা সাদিক ছবি তাদের সংগঠনে ব্যবহার করেছে। এটা সম্পুর্ন বে-আইনি।
প্রকাশিত প্রতিবাদ নিউজের পক্ষে
মটর সাইকেল ড্রাইভার সুমন ও লিটন,বিপ্লব,কাশেম,হারুন,মাহাবুবসহ সাধারন ড্রাইভাররা