প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন পুরস্কার মঞ্চে উঠলেন তখন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে তুমুল করতালি। মঞ্চের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে দু’দল কিশোর-কিশোরী।
যারা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালের প্রতিদ্বন্দ্বী। যেখানে ছেলেদের বিভাগে চট্টগ্রামকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল ও মেয়েদের বিভাগে ঢাকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খুলনা।
প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেবে, ট্রফি নেবে। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সালাম দেবে- এ তর যেন সইছিল না একঝাঁক কিশোর-কিশোরীর। রেফারি, অফিসিয়ালদের প্রথমে ক্রেস্ট তুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পরে এক এক করে ফাইনালের চার দলের খেলোয়াড়দের গলায় মেডেল পরিয়ে দিলেন। সর্বশেষ দুই বিভাগের রানার্সআপ ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। প্রতিটি পদক, প্রতিটি ট্রফি প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পাওয়ার পরই কিশোর-কিশোরীদের সে কি উচ্ছ্বাস!
পুরস্কার বিতরণের আগে প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন মেয়েদের ফাইনাল। তিনি স্টেডিয়ামে আসার আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ছেলেদের ফাইনাল।
সূচি সেভাবেই তৈরি ছিল। দুর্দান্ত লড়াই। খুলনা ও ঢাকা বিভাগ থেকে ছেকে সেরাদের নিয়ে তৈরি ছিল মেয়েদের দল। তেমন ছেলেদের দল তৈরি হয়েছিল বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের সেরাদের নিয়ে।
তাইতো সেরাদের লড়াইও ছিল দেখার মতো। প্রধানমন্ত্রী দারুণ খুশি মেয়েদের পারফরম্যান্স দেখে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘ফুটবল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা এটাই হলো বাস্তব কথা। ছেলেদের ম্যাচটা দেখিনি। আরো আগে এলে ভালো হতো। ছেলেদের ম্যাচও উপভোগ করতাম। মেয়েদের খেলাটা খুব ভালো লেগেছে। একটি মেয়ের খেলা তো খুবই ভালো খেলেছে। আশা করি, ভবিষ্যতে সে জাতীয় দলেও খেলবে।’
প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি গ্রহণের পর বরিশালের ছেলে আর খুলনার মেয়েরা আনন্দে পারলে আকাশ ছুঁয়ে ফেলে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফটো সেশনের সময়ও তাই। প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার বিতরণ করে চলে যাওয়ার পর দুই চ্যাম্পিয়ন দলই ট্রফি নিয়ে দৌড়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের লাল ট্র্যাকের ওপর দিয়ে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ অনূর্ধ্ব-১৭ এবার হলো দ্বিতীয়বারের মতো। তবে প্রথম হলো বঙ্গমাতা বালিকা বিভাগের খেলা। খুলনার মেয়েরা প্রথম আসরের ট্রফি জিতে নিজেদের নাম লেখালো রেকর্ডের পাতায়। ঢাকার মেয়েরা ভেজা চোখে স্টেডিয়াম ছাড়ে তীরে এস তরি ডোবায়।