বরিশাল আইনজীবী সমিতির নির্বাচন পুনরায় দাবি বিএনপি ফোরামের
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় নির্বাচন দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
শনিবার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ১৩ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বিতর্কিত দাবি করে তারা পুনরায় নির্বাচন দাবি করে। সংগঠনের জেলা কমিটির উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দাবি মানা না হলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ওই ফলাফলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে হুঁশিয়ারী দেন সংগঠনের নেতারা।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১০টি পদে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্যানেল থেকে সদস্য পদে একজন মাত্র বিজয়ী হন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান নান্টু।
তিনি অভিযোগ করেন, জেলা আইনজীবী সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৮৬৬ জন। এর মধ্যে ৭৬০ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বাতিল হয়েছে ৪টি ভোট। অথচ ৪ জন সভাপতি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট এবং বাতিল হওয়া ৪টি ভোট যোগ করলে দেখা যায় কাস্টিং ভোটের সংখ্যা ৭৬৯টি। অর্থ্যাৎ কাস্টিং ভোটের চেয়ে ৯টি ব্যালট বেশি পাওয়া যায়। অভিযোগ করা হয় ওই ৯টি ব্যালট বারবার ভোটারদের হাতে বদল হয়েছে।
রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের নেতৃবৃন্দ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে সাধারণ ভোটারদের বাধ্য করেন বলে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি প্রার্থী অভিযোগ করেন, এ বছর প্রথম তারা ভোটের দিন কোনো এজেন্ট দিতে পারেননি। একটি গোয়েন্দা সংস্থার দুই জন প্রতিনিধি সার্বক্ষণিক ভোট প্রদানের গোপন কক্ষে অবস্থান করেন।
নির্বাচন উপ-পরিষদ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান নান্টু বলেন, নির্বাচন উপ-পরিষদ থেকে একাধিক ফলাফল সিট দেওয়া হয়েছে। যাতে বড় ধরনের গড়মিল ধরা পড়েছে। একটি ফলাফল সিটে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম পেয়েছেন ৪২২ ভোট, আবার দ্বিতীয় ফলাফল সিটে দেখানো হয়েছে তিনি পেয়েছেন ৪৩২ ভোট। ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচন উপ-পরিষদ একটি প্রহসনের নির্বাচন করেছে। তাই জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এই ফলাফল প্রত্যাখান করে পুনরায় নির্বাচন দাবি করছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন মন্টু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট মির্জা মো. রিয়াজ হোসেন, বিএনপি সমর্থিত সিনিয়র আইনজীবী নাজিম উদ্দিন পান্না, হাফিজ আহম্মেদ বাবলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।