সাংবাদিকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করার পায়তারা চালানোয় নিউজ এডিটরস কাউন্সিল, বরিশাল থেকে ৭ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে বর্তমান কার্যকরি পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মশিউর রহমান মন্টুর হাতে পদত্যাগ পত্র প্রদান করেন সৈয়দ মেহেদী হাসান ও রিপন হাওলাদার।
বাকি পদত্যাগকারীরা হলেন জাকির হোসেন, এম.কে রানা, তানভীর হাসান আকিব, মজিবর রহমান নাহিদ ও এইচ.এম হেলাল। এরমধ্যে এইচএম হেলাল কার্যকরি পরিষদের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
বাকি ৬ জন সাধারণ পরিষদের সদস্য ছিলেন। পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বার্তা সম্পাদকদের সংগঠন নিউজ এডিটরস কাউন্সিল সাংবাদিকদের সংগঠন হলেও বর্তমানে সেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কেউ কেউ হাতিয়ার হিসেবে সংগঠনটিকে ব্যবহার করছেন। কার্যনির্বাহী কমিটির ১ নং সদস্য বিগত দিনে স্থানীয় একটি দৈনিকে কর্মরত থাকাকালীন অনৈতিক কর্মকান্ড করায় চাকুরীচ্যুত হন।
সেই রেশ ধরে সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য মনোনীত হয়ে আক্রোশ মেটাচ্ছেন। ১ নং সদস্য আসাদুজ্জামান বিগত কিছুদিন ধরে উদ্দেশ্যমূলকভাবে, নিজের ব্যক্তি আক্রোশ পূরণ করতে এবং দক্ষিণাঞ্চলের সাংবাদিকদের অভিভাবক সংগঠন শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবকে বির্তকিত করার মিশনে নেমেছেন।
পদত্যাগপত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করে উল্লেখ করা হয়েছে, আসাদুজ্জামান বিভিন্ন সাংবাদিকদের নিয়ে কটুক্তি ও গালাগাল দিয়ে সাংবাদিক সমাজকে মানুষের কাছে হাস্যকর করে তুলেছেন। এমনকি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের বারবার নির্বাচিত এবং জনপ্রিয় সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেনকে নিয়ে আপত্তিকর, কুরুচীপূর্ণ, অশালীন বক্তব্য বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে নিজেকে আলোচনায় আনার চেষ্টায় লিপ্ত। একইসাথে সাংবাদিকদের মাতৃ সংগঠন শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবকে বির্তকিত করতে সচেষ্ট।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া ও কুরুচীপূর্ন মন্তব্য করায় জনাব আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব এর বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, গণমাধ্যমে কর্মরত বির্তকিত আসাদুজ্জামানের অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার জন্য আইনের আশ্রয় গ্রহণ করা। সেই মোতাবেক বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রেসক্লাবের পক্ষে মামলা প্রদান করেন সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন। এটি একটি আইনী বিষয়।
দায়েরকৃত মামলাটি সত্য না মিথ্যা তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে জানাবেন। কিন্তু তার আগেই, সাংবাদিকদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টিকারী আসাদুজ্জামান বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার চালিয়েছেন। আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায় এবং আসাদুজ্জামান যে অভিযোগ এনে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে নিজেকে আলোচনায় আনতে চাইছেন-এই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে তারপরে মন্তব্য না করে সংগঠনের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামানের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে তার বিগত দিনের অপত্তিকর ফেসবুক পোস্ট, সাংবাদিকদের মাঝে বিভেদসৃষ্টির পায়তারা সর্ম্পকে তিরস্কার না করে বরংছ পুরস্কৃত করা হয়েছে।
একটি সঠিক সমাধান না দিয়ে সভাপতি হাসিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার রাকিব বির্তকিত কর্মকান্ডকারীর পক্ষে বিবৃতি দিয়ে বার্তা সম্পাদকদের সংগঠন নিউজ এডিটরস কাউন্সিলের মানহানী করেছেন। এছাড়াও রাষ্ট্রবিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াত ইসলামের অনুসারী সাংবাদিক নেতা আসাদুজ্জামানের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন। আসাদুজ্জামানের সাথে জামায়াতের লিঁয়াজো আছে বলে ওই পদত্যাগপত্রে দাবী করা হয়েছে। এসব কারন দেখিয়ে ৭জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন।