বরিশালের হিজলা উপজেলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোতে দিনভর অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় স্থানীয় চারটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা এবং সাতজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জেল জরিমানার আদেশ দেন।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়- উপজেলার হাসপাতাল রোডের বেশ কয়েকটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সোমবার বরিশাল সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালিত হয়। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সহযেগিতায় দিনভর বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অভিযান করে নানামুখী অপরাধে সাতজনকে জেল জরিমানা দেওয়া হয়।
রাতে র্যাবের একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে- উল্লেখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মেডিকেল ফিজিওথেরাপি সেন্টারের মালিক মো. মাসুম বিল্লাহ (৩৩), সান এক্সে এন্ড আলট্রাসোনিক সেন্টারের মালিক মো. জালাল হক (৪৫), টেকনিশিয়ান মো. জাহিদুর ইসলাম (২৯), সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. রুহুল আমিন (৪৫), ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন (২৮), রেমিডি মেডিকেল সার্ভিসেস সেন্টারের মালিক মো. খলিলুর রহমান (৩২) এবং টেকনিশিয়ান অনন্ত কুন্ডকে (২৫) আটক করা হয়।
পরে তাদের মধ্যে চার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিকককে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক লাখ টাকা জরিমানা এবং এক ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিককে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড। বাকি তিনজনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
সাজাপ্রাপ্তদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে র্যাবের ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।’