শুধুমাত্র বোম্বাই মরিচসহ নানা জাতের মরিচ বিক্রি করে চলতি মৌসুমে আয় করেছেন প্রায় দু’লক্ষ টাকা। বানিজ্যিকভাবে বোম্বাই মরিচসহ উন্নত জাতের কাঁচা মরিচ চাষে এ পরিমান টাকা আয় করেছেন বরিশালের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া নীলগঞ্জের কৃষক আবুল গাজী। মৌসুমের বাকী এক মাসে মরিচ বিক্রি করে আরো এক লক্ষ টাকা আয়ের আশা এ কৃষকের।
আবুল হোসেন দেশ রূপান্তরকে জানান, বিগত কয়েক বছর যাবৎ ধান চাষের লোকসানে দিশেহারা হয়ে পড়েন উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা কৃষি নির্ভরশীল এ পরিবারের আবুল গাজী। লোকসান লাঘবে ধান চাষের পাশপাশি শুরু করেন ফুলকপি, পাতা কপি, শিম, বেগুনসহ বিভিন্ন জাতের সবজি আবাদ। সবজি চাষ করে ধানের চেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন।
এ অঞ্চলের প্রথম এবং সফল সবজী চাষী সুলতান গাজীর নিয়মিত পরামর্শসহ সহযোগিতায় সবজি চাষের পাশাপাশি নয় শতাংশ জমিতে বোম্বাই মরিচ এবং বারো শতাংশ জমিতে উন্নত জাতের কাঁচা মরিচের চাষ করেন। জমি প্রস্তত, চাষ, বীজ বপনসহ পরিচর্যায় এতে তার ব্যয় হয়েছে কুড়ি হাজার টাকা। খুব বেশী পরিচর্যার প্রয়োজন না থাকায় উৎপাদন খরচ কম। নিয়মিত পরিচর্যায় ফলন হয়েছে বেশ ভাল।
আবুল হোসেন হাসি মুখে বলেন, বিক্রি নিয়ে খুব একটা ঝামেলা নেই। বাড়ীতে এসেই পাইকাররা মরিচ কিনে নিয়ে যায়। প্রতিমাসে চার বার বিক্রি করেন। শুধুমাত্র বোম্বাই মরিচ বিক্রি করেছেন আশি হাজার টাকার। উন্নত জাতের কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছেন প্রায় ৭০ হাজার টাকার। এছাড়াও ফুলকপি, পাতা কপি ও শিম বিক্রি করেছেন দু’লাখ টাকার বেশি। সব মিলিয়ে এ বছর সবজি চাষ করে খরচ বাদে তিন মাসে তার আয় হয়েছে চার লাখ টাকা।
আবুল হোসেন আরো জানান, স্থানীয় কৃষি অফিসের মাঠ কর্মকর্তারা তাকে নিয়মিত পরামর্শ ও সহযোহিতা দিচ্ছেন। তার দেখাদেখি নীলগঞ্জ ইউনিয়নের অনেক সবজি চাষীই শুরু করেছেন বোম্বাই মরিচের চাষ। স্থানীয় বাজারের চাহিদার চাহিদা মিটিয়ে এ মরিচ বিক্রি হচ্ছে বরিশাল বিভাগীয় শহরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় কুড়ি হেক্টর জমিতে বোম্বাই মরিচের চাষ হয়েছে।
জাপানে বোম্বাই মরিচের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চাহিদা পুরনে জাপান বিভিন্ন দেশ থেকে বোম্বাই মরিচ আমদানি করে থাকে। যদি জাপানে আমাদের কৃষকদের উৎপাদিত বোম্বাই মরিচ রপ্তানি করা যায় তবে কৃষকরা লাভবান হবে। কৃষি অর্থনীতিতে দেশ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।