মুলাদীতে ডাকাতির ঘটনায় তদন্তে নেমেছেন সিআইডি কর্মকর্তারা। আজ (১৬ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সিআইডি সদর দপ্তরের পুলিশ পরিদর্শক নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানাগেছে গত বছর ২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরিহিত ও মুখোশধারী ২৫/৩০জন ডাকাত মুলাদী বন্দরে প্রবেশ করে পাহারাদার ও রাস্তায় থাকা লোকজনদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মধ্য বাজারের বনশ্রী জুয়েলার্স, জননী জুয়েলার্স, রিতা জুয়েলার্স এবং রহমত স্টোরের তালা কেটে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার ও মালামাল লুট করেছিলো।
ওই সময় ডাকাতরা ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিলো। টহলরত পুলিশ ইজিবাইক নিয়ে মুলাদী মধ্য বাজারে প্রবেশ করার সময় ডাকাতরা পুলিশের গাড়ির সামনে বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায়।
ডাকাতির ঘটনায় মুলাদী থানার এসআই মনিরুজ্জামান তালুকদার বাদী হয়ে ৩ ডিসেম্বর রাতে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০জন ডাকাতকে আসামী করে অস্ত্র আইনে ১টি ও বিষ্ফোরক আইনে ১টি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া বন্দরের রিতা জুয়েলার্সের মালিক মনি শংকর কর্মকার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০জনকে আসামী করে একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেছিলেন।
মুলাদী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে মুলাদী পৌর এলাকার লালু বেপারীর ছেলে জহিরুল ইসলামসহ ৪জনকে গ্রেফতার করলেও ডাকাতির রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি। ডাকাতির রহস্য উদ্ঘটন ও মূল আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষে অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডির সদর দপ্তরের পুলিশ পরিদর্শক নাহিদ হাসানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের দল কাজ শুরু করেন।
এব্যাপারে মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্জ ফয়েজ উদ্দীন মৃধা জানান অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ কাজ শুরু করেছেন।