বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ জেলায় তিন লাখ ৬০ হাজার ২৪৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শুরু হয়েছে ক্যাম্পেইন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন।
উদ্বোধনী আয়োজনে তিনি বলেন, এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগে থেকেই প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুকে রক্ষা করতে এই ভিটামিনের বিকল্প নেই। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। তবে ভরা পেটে খাওয়া ভালো। যদি কোনো শিশু গত ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে তাহলে তাকে এখন এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
বরিশাল জেলায় শনিবার ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ৩৩ হাজার ১০৫ জন শিশুকে নীল রঙের এক লাখ ওট ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে। পাশাপাশি ১২ থেকে ৫৯ বয়সের দুই লাখ ৭৭ হাজার ৫৩৩ জন শিশুকে লাল রঙের দুই লাখ ওট ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে।
বরিশালের ১০ উপজেলার ৮৫টি ইউনিয়নের ২৫৫টি ওয়ার্ডে দুই হাজার ২৫০টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। বরিশাল সিভিল সার্জনের এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে চার হাজার ১০০ জন কর্মী কাজ করছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান কেন্দ্র খোলা থাকবে।
অপরদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাহিদ হোসেন জানান, বরিশাল সিটি কপোরেশনের আওতায় ২২০টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৪৯ হাজার ৬১০ জন শিশুকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী পাঁচ হাজার ১০০ জন শিশুকে নীল রঙের এক লাখ ওট ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে। একইসঙ্গে ১২ থেকে ৫৯ বয়সের ৪৪ হাজার ৫১০ শিশুকে লাল রঙের দুই লাখ ওট ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন খাওয়ানো হবে।
সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ, সদর হাসপাতাল, শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ২৩টি প্রতিষ্ঠানের ৫০০ জন কর্মী শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজ করছে।