বরিশালে গ্যেজেট প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় মন্ত্রীর ব্যর্থতায় রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধারা রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সদ্য ঘোষিত সমালোচিত রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে অশ্বিনী কুমার হলের সামনের সদর রোডে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর ব্যর্থতায় রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নামে এসেছে। যা জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর ও ন্যক্কারজনক বিষয়। তাই অবিলম্বে রাজাকারের তালিকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাতিল করে পুনরায় রাজাকারের নাম প্রকাশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বরিশালের মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারসহ সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বক্তারা আরো বলেন, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয় বরং জাতীয় ষড়যন্ত্র করে রাজাকারদের বাঁচাতে এমন তালিকা করা হয়েছে।
বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় নাম থাকা বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তী, তার মেয়ে জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী, বরিশাল সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল ঘোষ, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি পুলক চ্যার্টাজী, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ মো. টিপু সুলতান প্রমুখ।
এছাড়াও বিক্ষোভ সমাবেশে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশান্ত ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক মিথুন সাহা, সাবেক সভাপতি নজরুল বিশ্বাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাপ্পি মজুমদার বক্তব্য রাখেন।
এসময় বরিশালের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সংগঠন, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনসহ পেশাজীবী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সারাদেশের ন্যায় বরিশালে প্রায় হাজারের অধিক রাজাকারের নাম উল্লেখ করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে উল্লেখযোগ্য গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নামও রয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে বরিশালের অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তী, প্রয়াত ঊষা রানী চক্রবর্তী, আব্দুল হাই সেরনিয়াবাত, জগদীশ চক্রবর্তী ও মিহির লাল দত্তসহ পাঁচ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম। তবে রাজাকারের তালিকায় বরিশালের যেসব মুক্তিযোদ্ধাদের নাম এসেছে তা বরিশালের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে পাঠানো রাজাকারের তালিকায় তাদের নাম ছিল না।