মুলাদীতে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের যৌন হয়রানির বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এক হতদরিদ্র পিতা। উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের দরিদ্র মৎস্যজীবী এমদাদ বেপারী মেয়ের যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিসহ বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিচ্ছেন।
যৌন নিপীড়ক উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় এমদাদ বেপারী থানায় মামলা করতেও সাহস পাচ্ছেন না।
এমদাদ বেপারী জানান মুলাদী উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের ডিক্রীরচর গ্রামের মৃত শাহজাহান মাস্টারের লম্পট পুত্র ও উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শামিম কৃষ্ণরুদ্র গ্রামের ইব্রাহিম ফকিরের বাড়ির পুকুরে বালি ভরাটের কাজের জন্য ৮/১০ দিন ধরে তাদের বাড়ির কাছ দিয়ে যাওয়া আসা করতো।
যাওয়া আসার মাঝে লম্পট শামিমের কুদৃষ্টি পড়ে এমদাদ বেপারীর মেয়ে ও প্যাদারহাট ওয়াহেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর ওপর।
শামিম ওই ছাত্রীকে কয়েকদফা কুপ্রস্তাব দেয়। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সৈয়দ শামিম গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর ১টার দিকে ওই ছাত্রীকে বাড়ির কাছে একা পেয়ে জড়িয়ে ধরে যৌন নিপীড়ন চালায়।
ছাত্রীর ডাকচিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে লম্পট শামিম পালিয়ে যায়। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে সৈয়দ শামিম ও তার লোকজন বিয়ষটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে এবং ছাত্রীর পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়।
ছাত্রীর পিতা আরও জানান মেয়ের ওপর যৌন নির্যাতনের বিষয়টি তিনি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করে বিচারের দাবী জানান।
স্থানীয় প্রভাবশালীরা লম্পটের বিচারের আশ্বাস দিয়ে থানা প্রশাসনের কাছে যেতে বাধা দিয়েছেন। ৫ দিনেও কোনো বিচার না হওয়ায় তিনি মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করে সৈয়দ শামীমের বিচারের দাবী জানিয়েছেন।
এব্যাপারে মুলাদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন জানান স্কুল ছাত্রীর পিতা তার মেয়ের যৌন নিপীড়নের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগের কপি মুলাদী থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। মুলাদী থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফয়েজ উদ্দীন মৃধা জানান স্বুল ছাত্রীর যৌন নিপীড়নের বিষয়ে মৌখিক ভাবে অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।