আজ ২ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১১ টায় বরিশাল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে, জেলা প্রশাসন বরিশালের সম্মেলন কক্ষে। জেলা প্রশাসনের সাথে গুজব, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেশের সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে বলে তিনি বলেন, গুজব, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের বিশেষ করে ইমাম মোয়াজ্জেম এবং পুরহিতরা ভুমিকা রাখছে। তারা সমাজের বিভিন্ন অবক্ষয় প্রতিরোধে নিজ উদ্যোগে কাজ করে আসছে। বর্তমান দেশের চলমান গুজব প্রতিরোধে তাদের আরও বেশি ভুমিকা নিতে হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুজব প্রতিরোধে জেলা পর্যায় মনিটরিং সেল কাজ করছে। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল রাজিব আহমেদ, পরিচালক ইসলামিক ফাউণ্ডেশন বিভাগীয় কার্যালয় বরিশাল মোহাম্মদ ইদ্রিছ, সভাপতি ইমাম সমিতি বরিশাল কাজী আবদুল ফারুক, সভাপতি ইমাম সমিতি বাবুগঞ্জ উপজেলা আবদুল হান্নান খান, সম্পাদক জেলা ইমাম সমিতি বরিশাল মাওলানা ডাঃ এম, এ, ছালামসহ বরিশাল মহানগরীর বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জেম উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে দুপুর ১২ টার দিকে পুরোহিত ও ফাদারদের অংশগ্রহণে গুজব, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল এস, এম, অজিয়র রহমান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল রাজিব আহমেদ, এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম বরিশাল, দেবাশীষ দাস, সাবেক অধ্যক্ষ অমৃত লাল দে কলেজ, তপংকর চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ মিশন বরিশাল বলোদেব বলোরাম দাস, রেভ আলবার্ট হালদার, পুরোহিত সেন্ট পিটার্স চার্চ বরিশাল। বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানিক মুখার্জী কুডু, ধর্মরক্ষ্মিনী সভাগৃহের সাধারণ সম্পাদক মৃনাল কান্তি সাহাসহ বিভিন্ন মন্দির, গির্জা এবং প্যাগোডার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন উপায়ে গুজব ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারসহ স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে এক ধরনের আতংক সৃষ্টির অপপ্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে এক শ্রেনীর মানুষ, তারা অসৎ উদ্দেশ্যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এসব গুজব প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হয়ে একসাথে কাজ করতে হব।