প্রথমবারের মতো টেস্টে ব্যবহৃত হতে যাচ্ছে গোলাপী এসজি বল। কলকাতায় ভারত-বাংলাদেশ দিবা-রাত্রির টেস্ট এসজি বলে হবে বলে জানিয়েছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। দুদলই প্রথমবারের মতো খেলতে নামছে দিবা-রাত্রির টেস্ট। ফ্লাডলাইটের আলোয় কলকাতা টেস্ট হবে, এই ঘোষণা আসার পর থেকেই কৌতূহল ছিল ম্যাচের বল নিয়ে। ইন্দোরে সিরিজের প্রথম ম্যাচে খেলা হবে এসজি বল দিয়ে, তাই কলকাতায় শেষ ম্যাচেও এসজি বল ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। টেস্ট বা ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, দুই ক্ষেত্রেই ভারতে এসজি বল ব্যবহার করা হয়। তবে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে গত কয়েক বছর ধরে গোলাপী বল হিসেবে কোকাবুরা ছিল বোর্ডের প্রথম পছন্দ।
অন্যান্য দেশেও গোলাপী বল হিসেবে কোকাবুরা বা ডিউকসের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। কলকাতা টেস্টের জন্য তবে কেন কোকাবুরা বল নয়? উত্তরটি দিয়েছেন সৌরভ। “একই বল দিয়ে পুরো সিরিজ খেলতে হবে। একই সিরিজে দুটো আলাদা বল ব্যবহৃত হতে পারে না। সিরিজের প্রথম টেস্ট এসজি বলে হবে। তাই দ্বিতীয় টেস্টেও এসজি বলই ব্যবহৃত হবে। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই এসজির কাছে ৭২টি গোলাপী বলের অর্ডার দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। দুই দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারেরই গোলাপী বলে খেলার অভিজ্ঞতা না থাকায় তাদের অনুশীলনও হবে গোলাপী বলে। তাই আগামি ৬ নভেম্বরের মধ্যে বল সরবরাহ করতে বলা হয়েছে এসজিকে। নিয়মিত ব্যবহার হলেও এসজি বলের মান নিয়ে নানান সময়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে ব্যবহৃত এসজি বল নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এসজির চেয়ে ডিউকস বলের প্রতি নিজের ভালোলাগার কথাও বলেছিলেন অকপটে। গোলাপী বল নিয়ে অবশ্য বেশ আত্মবিশ্বাসী এসজির মার্কেটিং ডিরেক্টর পরশ আনন্দ। “আমরা প্রায় তিন বছর ধরে গোলাপী বল নিয়ে কাজ করছি। ৮০ ওভার এই বল ব্যবহার করা যায় কি না, সেটি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। বলের রঙ, আকৃতি, সিম, মূল অংশ – সবকিছুই দেখা হয়েছে। এবং এগুলোর ফলাফল বেশ ভালো। তবে নভেম্বরের কলকাতায় নতুন এই বলের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হতে পারে ঘাসে জমে থাকা শিশির। আনন্দ অবশ্য আশাবাদী, সে পরীক্ষায় ভালো ভাবেই উতরে যাবে তাদের গোলাপী বল।