কুষ্টিয়ার জগতি এলাকায় শ্লীলতাহানি ও ইভটিজিংয়ের বিচার না পেয়ে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী আত্মহনন করেছেন। একই এলাকার সুজ্জল নামে এক বখাটের এমন আচরণের বিচার না পেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন ফাহিমা খাতুন নামে ওই শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার সকালে ফাহিমা নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। ফাহিমা ওই এলাকার ফারুক খানের মেয়ে এবং বাড়াদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সুজ্জল একই এলাকার বদর শাহের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে ফাহিমা তার বোনের ছেলের জন্য দুধ আনতে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে যান। পথে একই এলাকার সুজ্জল ওই স্কুলছাত্রীর গায়ে হাত দেয় এবং অশ্লীল কথাবার্তা বলে। বিষয়টি বাড়িতে ফিরে আত্মীয়-স্বজনকে জানিয়ে ফাহিমা স্কুলে চলে যায়।
পরে ওই স্কুলছাত্রীর মা বিচারের দাবিতে সুজ্জলের বাড়িতে যান। সেখানে উল্টো ওই স্কুলছাত্রীকে নানা কটূক্তি ও দোষারোপ করে সুজ্জলের পরিবার। বিচারের নামে প্রকাশ্যে এমন অপমান সইতে না পেরে বাড়ি ফিরে নিজ ঘরের শয়নকক্ষে ওড়না পেঁচিয়ে ফাহিমা আত্মহত্যা করে।
ফাহিমার বাবা ফারুক খান বলেন, মাঝে মধ্যেই লম্পট সুজ্জল রাস্তাঘাটে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। মান-সম্মানের দিকে তাকিয়ে আমরা সব সহ্য করেছি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি (অপারেশন) জাবিদ হোসেন জানান, মেয়ের বাবার কাছ থেকে এমন অভিযোগ শুনেছি। আত্মহত্যার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।