বরিশাল নগরীর দুই প্রবেশদ্বারের দুটি বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে। সিটি কর্পোরেশনের অধীনস্থ তিন একর জায়গা বিশিষ্ট একেকটি টার্মিনালে বছরের সব সময়ই হাঁটু সমান পানি কিংবা কর্দমাযুক্ত থাকে। সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগের এ টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের জন্য নেই কোন সুযোগ সুবিধা। আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে যাত্রী চাঁপ বিবেচনায়ও কোনো পদক্ষেপ নেই টার্মিনালগুলোতে।
সরেজমিনে রূপাতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি রুটের ১০টি মালিক সমিতির অধীনে এক হাজারের বেশি বাস ও মিনিবাস চলাচল করছে। এ বিপুল সংখ্যক বাসে স্বাভাবিক সময়েই দুই লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করলেও নেই কোন টয়লেটের ব্যবস্থা। পাবলিক টয়লেটের নামে বিসিসি থেকে ইজারা নেয়া রূপাতলী বাস টার্মিনালের উত্তর-পশ্চিম পাশে হাঁটুসমান পানি পেরিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের পাবলিক টয়লেট। টাকা দিয়েও ওই টয়লেটের সামনে গিয়ে আর ভিতরে প্রবেশ করতে চায়না সাধারণ যাত্রীরা। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ গিয়ে বমি করতে করতে বের হলেও সিটি কর্পোরেশন কিংবা মালিক সমিতির নজর নেই সেদিকে। টার্মিনালের সর্বত্র নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করলেও তা দেখার কেউ নেই।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান যাত্রী সেবা বিবেচনায় মালিক সমিতির কল্যান ফান্ড থেকে ঈদ-উল আযহায় যাতায়াতকারী যাত্রীদের সেবা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দদের নির্দেশ দিয়েছেন।
সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান জানান, গত ঈদ-উল ফিতরের আগে রূপাতলী বাস টার্মিনালের যাত্রী দুর্ভোগ লাঘবে বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ব্যক্তিগতভাবে সংস্কার করিয়ে দিয়েছেন। নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সিটি কর্পোরেশনের টেন্ডার কার্যক্রমের মাধ্যমে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও নিচু জায়গা ভরাটের কাজ হয়েছে।