পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, যারা অবৈধভাবে নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বিভিন্নভাবে বালি উত্তোলন করছে তাদের ছবি মিডিয়ায় প্রকাশ করুন।
মিডিয়া এসব ছবি প্রকাশ করলে প্রশাসনের সহযোগিতা হয়। আমরা বালি উত্তোলন বন্ধের বিষয়ে ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি। মিডিয়া কর্মীদেরও এসব বিষয়ে প্রশাসনের পাশে থাকতে আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের নজরদোলা গ্রামে এক জনসভা শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এই কথা বলেন তিনি।
এর আগে জনসভায় প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেন, যখন ভারত, নেপাল চীনসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বর্ষাকালে ভারী বৃষ্টি হয়, তখন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চিন্তিত হন। কারণ তাদের দেশের পানি আমাদের দেশের উপর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ে। এই পানিগুলো প্রবল বেগে এসে আমাদের দেশে বন্যা দেখা দেয়।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে চেষ্টা করছি নদী পাড় রক্ষা করতে। ইতিমধ্যে নদী রক্ষায় অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। ১০ বছর আগেও নদী ভাঙ্গন হয়েছে কিন্তু পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
আমাদের দেশ এখন স্বাবলম্বী তাই নদী ভাঙ্গনে সাহস করে পদক্ষেপ নিতে পারি। আমরা অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে কাজ করে চলেছি।
এরপর প্রতিমন্ত্রী নবীনগরের উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙ্গন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
এসময় তার সাথে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এ মাসুম সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।