বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী নির্যাতিত হচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশি নাগরিক প্রিয়া সাহা যে অভিযোগ করেছেন সরকার তাকে ‘ভয়ঙ্কর মিথ্যা’বলে অভিহিত করেছে।
শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘বাংলাদেশ সরকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার এই ভয়ঙ্কর মিথ্যা অভিযোগের কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।’
কড়া ভাষায় প্রিয়া সাহার বক্তব্যেও নিন্দা জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রিয়া সাহার এই চরম মিথ্যাচার এবং সাজানো গল্পের পেছনে অশুভ উদ্দেশ্য রয়েছে। তার এই বক্তব্যের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা।
একটি ভিডিও ক্লিপের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, ১৮ জুলাইয়ের একটি ভিডিওর প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে, সেখানে প্রিয়াকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। প্রিয়া এ সময় ট্রাম্পকে জানায়, বাংলাদেশ থেকে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ৩ কোটি ৭০ লাখ লোক নিখোঁজ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে প্রিয়া একথাও বলেন যে, মুসলিম মৌলবাদীরা তার জমি দখল করে নিয়েছে এবং হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকরা যাতে বাংলাদেশে বসবাস করতে পারে এ জন্য ট্রাম্পের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
প্রিয়া এসব কথা যখন ট্রাম্পকে বলছেন তখন ১৬ থেকে ১৮ জুলাই ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট-এ সেকেন্ড মিনিস্ট্রিয়াল টু এডভান্স রিলিজিয়াস ফ্রিডম অনুষ্ঠিত হচ্ছিলো।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতিঘর, এখানে সকল বিশ্বাসের লোকরা দীর্ঘকাল ধরে শান্তিতে বসবাস করে আসছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ যখন মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখের বেশি মিয়ানমার নাগরিককে অস্থায়ী আশ্রয়দানের সিদ্ধান্ত নেয় তখন গোটা বিশ্ব বাংলাদেশের মানবিক আচরণ ও উদারতার প্রশংসা করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার আশা করছে এ ধরণের বিরাট আন্তর্জাতিক ইভেন্টের আয়োজকরা সত্যিকার দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানাবেন যারা ধর্মীয় স্বাধীনতার সত্যিকার চেতনা ও মূল্যবোধ সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে কার্যকর অবদান রাখবেন। বাসস