আন্তর্জাতিক ডেস্কঃপবিত্র হজ শেষ হতেই হাজীরা ফিরে যান নিজ নিজ ঘরে। সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগগুলোও চলে যায় মক্কা, জেদ্দা ও অন্যান্য স্থানে তাদের মূল অফিসে। এরপরই শুরু হয় চোরদের ”কাজ”। তারা পবিত্র স্থানগুলো, বিশেষ করে আরাফাত ও মুজদালিফা থেকে দেদারসে চুরি করতে থাকে সরকারি সম্পদ।
ওয়াকিবহাল সূত্রের বরাত দিয়ে সউদি আরবের ইংরেজি দৈনিক সউদি গেজেট মঙ্গলবার এ খবর ছেপেছে।
সূত্রটি জানায়, চোরের দল সাধারণত পয়ঃপ্রণালীর ঢাকনা, টয়লেটের দরজা, বিদ্যুতের তার এবং অন্য বহু জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়।
মোহাম্মদ আলী নামে সউদিপ্রবাসী এক পাকিস্তানী কর্মী বলেন, হজ মৌসুম যেইমাত্র শেষ হয়, অমনি চোরেরা চুরিতে লেগে যায়, বিশেষ করে আরাফাত ও মুজদালিফায়। এই চুরি চলতে থাকে সারা বছর।
তিনি বলেন, চোরেরা আরাফাত ও মুজদালিফাকে বিশেষ করে টার্গেট করার কারণ হলো, ওখানে খোলা জায়গা আছে, যাতে সহজে ঢোকা যায়। তারা রাতের বেলাকেই এ অপকর্মের সময় হিসেবে বেছে নেয়। কেননা, এ সময় এসব স্থান জনশূণ্য হয়ে যায় আর রাস্তায়ও খুব কম যানবাহন চলাচল করে। নিরাপত্তারক্ষীরা সারা বছর এসব স্থান পাহারা দিতে পারে না।
তিনি জানান, তবে মিনায় বড় কোনো চুরির ঘটনা ঘটে না। কারণ, ওখানে ঢোকা ও বের হওয়ার রাস্তা খুবই কম।
সালিম আল-হারবে নামে এক সউদি নাগরিক বলেন, হজের পর আপনি এসব এলাকা দিয়ে হেঁটে গেলেই দেখবেন বেশিরভাগ টয়লেটের দরজা নেই, বিদ্যুতের তারগুলোও খুঁজে পাবেন না। এই ডাকাতি বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা বিভাগগুলোর কার্যক্রম আরো জোরদার করা উচিত।
মক্কা পৌর কর্তৃপক্ষ চুরির কথা স্বীকার করে জানায়, এই ডাকাতি বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা বিভাগগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।