বরিশালে ভেজাল খাদ্য সামগ্রী বিক্রি বিরোধী অভিযানে এবার মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)। প্রতিষ্ঠানটি ভেজাল খাদ্য বিক্রয় এর পাশাপাশি উচ্চ আদালতের কালো তালিকা ভুক্ত ৫২ পন্য বিরোধী অভিযান শুরু করেছে। যার অংশ হিসেবে বরিশাল,বরগুনা এবং ঝালকাঠীর বাজার গুলোতে শুরু হয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান। গত ১১ দিনের অভিযানে ৩ জেলা শহরের অন্তত ১২টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার পাশাপাশি সমপরিমান মামলাও দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত । বরিশাল পেক্ষাপটে বিএসটিআই এমন অভিযান সম্ভবত এবার ই প্রথম বলে ধারনা করা হচ্ছে। যদিও সংস্থাটির এই অভিযান স্বস্ব জেলার বাসিন্দাদের স্বস্থী এনে দিয়েছে। পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত বিএসটিআইর এই ভাম্যমান আদালত এর অভিযান অব্যহত থাকলে অন্তত ভেজাল খাদ্য বিক্রয় কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রনে আসবে। এজন্য অভিযানে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আহবান জানানো হয়েছে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে। অবশ্য বিএসটিআই কতৃপক্ষ বলছেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা ৫২ পন্য মার্কেট থেকে পুরোপুরি অপসারন না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই অভিযান চলবে। পাশাপশি ভেজাল খাদ্য সমগ্রী বিক্রয় বিষয়টিও প্রতিরোধে ভুমিকা রাখবে। বিশেষ করে সংস্থাটি জেলা শহরের বাজার গুলোতে এবারে চোখ রাখছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই অভিযানের প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে ৩ জেলা শহরে ভেজাল খাদ্য বিক্রয় বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
চলতি মাসে ৫টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিএসটিআই। অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালতের ১২ টি মামলায় ১২টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করা হয়। চলতি মাসের ২ তারিখ বরগুনার আমতলীতে ২টি মিষ্টির দোকান ও ২টি কসমেটিকস এর দোকানে ৬ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করা হয়। ৪ তারিখ ঝালকাঠি সদরে মেসার্স রায়হান ড্রিংকিং ওয়াটার কে ১০ হাজার ও মেসার্স মক্কা ফুড প্রোডাক্টস কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ৮ তারিখ বরগুনা সদরে মেসার্স ইনসাফ ড্রিংকিং ওয়াটারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং গৌরনদী উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৩টি মিষ্টির দোকানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ৯ তারিখ বরিশাল মহানগরীর মেসার্স কুমিল্লা বেকারীকে ১০ হাজার ও মেসার্স নিউ আশা বেকারীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে বিএসটিআই কতৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত ।
এছাড়া বিএসটিআই বরিশাল বিভাগীয় অফিসের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১৬টি সার্ভিল্যান্স পরিচালনা করা হয়। সার্ভিল্যান্স অভিযানে ৪০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ৬টি বাজার পরিদর্শন করা হয়। পন্যের গুনগত মান যাঁচাইয়ের জন্য বাজার হতে ৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এছাড়া অবৈধ ভাবে পন্য উৎপাদনের জন্য বরিশালের কর্ণকাঠী এলাকার মেসার্স লামিয়া বেকারী এন্ড কনফেকশনারী ও মেসার্স ইসলামিয়া বেকারী এন্ড বিস্কুট নামের ২ টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বরিশাল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়মিত মামলা দায়ের করেন বিএসটিআই বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়।