ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার আজ বরিশালের ঐতিহাসিক পুরাকৃর্তি কড়াপুর মিয়াবাড়ি জামে মসজিদ পরিদর্শনে যাচ্ছেন। বিকেলে ৫টায় তার কড়াপুরে পৌঁছার কথা।
তিন শ’ বছরের পুরনো এ মসজিদটি তত্ত্বাবধায়ক আমিনুর রহমান ফিরোজ গতকাল এ কথা জানান। দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য শৈলীর এ মসজিদ ইতোমধ্যে বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পূরাকীর্তির তালিকায় স্থান পেয়েছে।
ফিরোজ জানান, বরিশাল শহরতলীর কড়াপুর গ্রামের মাহমুদ হায়াতের ছেলে মাহমুদ জাহিদ ১৭০৪ সালে এ মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। মোগল স্থাপত্যের অনুকরণে ৮০ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত মসজিদটি ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৯ সালে হাজী আলী আহমদ মিয়ার তত্ত্বাবধানে এক দফা সংস্কার করা হয়। সর্বশেষ ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালে পুনরায় সংস্কার করা হয় তার নেতৃত্বে।
উইকিপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চল ব্রিটিশ শাসনের সময়ে নির্মিত মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা হায়াত মাহমুদকে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কারণে এবং বুর্জোয়া উম্মদপুরের জমিদারি গ্রহণের জন্য প্রিন্স অব ওয়েলস কর্তৃক বহিষ্কার করা হয়। ছয় বছর পর তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং দুইটি দীঘি ও দোতলা এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটির স্থাপত্যশৈলীতে পুরান ঢাকার শায়েস্তা খান কর্তৃক নির্মিত কার্তালাব খান মসজিদটির অনুকরণ দৃশ্যমান।
আয়াতক্ষেত্রাকার মসজিদটির উপরিভাগে তিনটি ছোট আকারের গম্বুজ রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে মাঝখানের গম্বুজটি অন্য দু’টি গম্বুজের চেয়ে আকারে কিছুটা বড়। কড়াপুর মিয়াবাড়ি মসজিদের সামনের দেয়ালে চারটি মিনার এবং পেছনের দেয়ালে চারটি মিনারসহ মোট আটটি মিনার রয়েছে। এ ছাড়া সামনের এবং পেছনের দেয়ালের মধ্যবর্তী স্থানে কয়েকটি ছোট মিনার রয়েছে। মসজিদের উপরিভাগ এবং সবগুলো মিনারে ব্যাপকভাবে কারুকাজ করা হয়েছে।
কড়াপুর মিয়াবাড়ি মসজিদের পূর্বদিকে একটি বিশালাকারের পুকুর রয়েছে। মসজিদে প্রবেশ করার জন্য দোতলায় একটি প্রশস্ত সিঁড়ি রয়েছে।