জেলার শহরতলীর কুমারগাঁয়ে সুরমা নদীতে সৎমা কর্তৃক ছুড়ে ফেলা মাহার (৫) লাশ শনিবার উদ্ধার করা হয়েছে।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মাহার সৎমা সালমা বেগমের (২৮) বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কুমারগাঁও সুরমা নদীর ওপর সেতু থেকে মাহাকে ফেলে দেন সৎমা সালমা। এরপর নিমিষেই সুরমার প্রখর স্রোতে নদীগর্ভে তলিয়ে যায় শিশুটি।
পরে উপস্থিত লোকজন ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন।
নিহত মাহা সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানা এলাকার ফতেহপুর গ্রামের জিয়াউল হকের মেয়ে।
জানা গেছে, সালমার মামাতো বোন রাজনা বেগমের সাথে বিয়ে হয় জিয়াউল হকের। বনিবনা না হওয়ায় তাদের ডিভোর্স হয়। ওই দম্পত্তির সন্তান মাহা। রাজনাকে ডিভোর্সের পর সালমাকে বিয়ে করেন জিয়াউল হক। সালমা বেগমও দুই বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানের জননী। মাহাও এই দম্পত্তির সাথে থাকতেন।
শুক্রবার নিজের সন্তানকে বাড়িতে রেখে মাহাকে নিয়ে বাবার বাড়ি রওয়ানা দেন সালমা। এরপর সেতুতে উঠে মেয়েটিকে নদীতে ছুড়ে ফেলে দেন।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওকিল উদ্দিন বলেন, শিশুটির লাশ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন।