সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পরিবহন ধর্মঘট আহ্বানকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, রায় দিয়েছেন আদালত। জনগণ দেয়নি। রায়ের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তাহলে জনগণ কেন কষ্ট পাবে?
সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব অযৌক্তিক ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া উচিত।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বাম দলগুলোর ডাকা মঙ্গলবারের আধা বেলার হরতাল সফল হয়নি দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা শহরে কেউ হরতাল দেখেছে? কোথাও কি গাড়িঘোড়া বন্ধ হয়েছে? এটা হরতাল না ভয়তাল। এখন ভয়তালেও কেউ ভয় পায় না। কাজেই আজকে যাঁরা হরতাল-ধর্মঘট ডাকেন, তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই, হরতাল এখন আর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দাবি আদায়ের কার্যকর হাতিয়ার নয়। হরতাল নামক হাতিয়ারে এখন মরিচা পড়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি বায়েজিদ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গোলাম সারোয়ার কবীর, মামুনুর রশীদ, গিয়াস উদ্দিন সরকার প্রমুখ।
ছাত্রনেতাদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতিতে গডফাদারের উত্থান ভয়াবহ। ইতিহাস দেখ। গডফাদারদের পরিণতি স্বাভাবিক নয়। তিনি বলেন, আমাদের পার্টিতে দক্ষতাসম্পন্ন জনপ্রিয় নেতা চাই। গডফাদারদের বিরুদ্ধে আমরা আপসহীন লড়াই শুরু করেছি। গডফাদারদের বিরুদ্ধে আমাদের নেত্রীর অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। ছাত্রনেতাদের বলব, কেউ গডফাদারের ভাবমূর্তি গড়ে তুলো না। একসময় ভাবও থাকবে না, মূর্তিও থাকবে না। গডফাদারদের পরিণতি হয় অত্যন্ত করুণ।
নেতাদের স্বার্থের পাহারাদার না হতেও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।