বরগুনা সদরে প্রকাশ্য দিবালোকে শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় এ পর্যন্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘বাকি আসামিদের গ্রেফতারেও অভিযান চলছে। নৃশংস এই হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের কারও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শুক্রবার (২৮ জুন) বিকালে বরগুনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে রিফাত হত্যা মামলার অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই মামলায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে দেশের প্রতি জেলার পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকাগুলোতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কোনোভাবেই কাউকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হবে না।’
এর আগে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রিফাত হত্যা মামলায় ৪ নম্বর আসামি চন্দন, ৯ নম্বর আসামি হাসানকে গ্রেফতার ও নাজমুল নামে অজ্ঞাত একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া, অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।’
মারুফ হোসেন আরও বলেন, ‘১ নম্বর আসামির বিরুদ্ধে ৮টি ও ২ নম্বর আসামির বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। প্রত্যেক মামলায় পুলিশ সঠিকভাবে চার্জশিট দাখিল করেছিল। কিন্তু আদালত থেকে জামিন নিয়ে তারা বাইরে ছিল।’
উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। একাধারে রিফাতকে কুপিয়ে বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে হামলাকারীরা। তারা চেহারা লুকানোরও কোনও চেষ্টা করেনি। গুরুতর আহত রিফাতকে এদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।