প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) ‘ডেটা সাংবাদিকতা’ বিষয়ক তিন দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাংবাদিকদের আরও দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির এটি প্রথম কর্মশালা।
গত বুধবার শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ হয় শুক্রবার। এদিন পিআইবি সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় সমাপনী অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। প্রশিক্ষণ কর্মশালার মুখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন ডেটাফুলের প্রতিষ্ঠাতা পলাশ দত্ত।
অনুষ্ঠানে ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, তথ্য প্রযুক্তির যুগে নতুন সাংবাদিকতার যে নতুন পরিসর তৈরি হয়েছে, সেখানে ডেটা সাংবাদিকতার অনেক গুরুত্ব রয়েছে। প্রথমবারের মতো বিষয়টি নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করায় পিআইবিকে ধন্যবাদ জানাই। যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তারা সাংবাদিকতার নতুন এ ধরন নিয়ে সামনে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবেন বলে আশা করছি।
সভাপতির বক্তব্যে পিআইবি মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, পিআইবি ডেটা সাংবাদিকতা নিয়ে প্রথমবারের মতো এ আয়োজন করেছে। নিঃসন্দেহে এটি বাংলাদেশের সাংবাদিকতার জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি গণমাধ্যমকর্মীদের সাংবাদিকতার নানা বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। ভবিষ্যতে ডেটা সাংবাদিকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতার আরও নিত্য নতুন ও সময়োপযোগী ধারা নিয়ে প্রশিক্ষণ আয়োজন ও সাংবাদিকদের মান উন্নয়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষকরা জানান, ডেটা সাংবাদিকতায় প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায়ও বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। এখানে ডেটা ভিত্তিক তেমন কোন সাংবাদিকতা হয়না। তবে সাংবাদিকতার ভবিষ্যত প্রজন্মকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ডেটাভিত্তিক সাংবাদিকতা সমাজ ও রাষ্ট্রের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে তুলে ধরে সঠিক চিত্র। তথ্য প্রযুক্তির যুগে ডেটা সাংবাদিকতাই ভবিষ্যতে বড় মাঠ দখল করে নেবে।
ঢাকায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত মোট ৩৫ জন সাংবাদিক এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালাটির সার্বিক সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন পিআইবির সহকারী প্রশিক্ষক নাসিমূল আহসান।