বরিশালের বাকেরগঞ্জের কবাই ইউনিয়নে নানা অপকর্মের অনুঘটক ভূমি দস্যু জাকির হোসেন খান ও তার সহযোগীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার নীরিহ মানুষ। এই জাকির খানের গড়ে তোলা অস্ত্রধারী বাহিনীর অত্যাচার সইতে না পেরে ইতোমধ্যে এলাকা ত্যাগ করেছেন কয়েকটি পরিবার। তারা বিচার চেয়েও পায়নি। অতিস¤প্রতি এই বাহিনী জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে নাজমা বেগম নামের গৃহবধুকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়। যার নং ১৬, তারিখ : ১৬-০৬-২০১৯ ইং।
মামলা দায়েরে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসী জাকির খান ও তার সহযোগী আল আমিন, পলাশ, বাউফলের কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাকডালা গ্রামের আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য ইউসুফ মিলে ফের ওই পরিবারের ওপর হামলা চালায়। প্রতিবন্ধী নারী ফিরোজা বেগমকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে মহিলা সার্জারী ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন হামলায় আহত প্রতিবন্ধী ফিরোজা বেগম। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কবাই ইউনিয়নের জয়নাল খানের পুত্র জাকির খান। তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী অন্তহীন অভিযোগ থাকলেও অদৃশ্য কারণে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। আর তার সহযোগী আল আমিন ও পলাশের বিরুদ্ধে টঙ্গি থানায় একটি মাদক মামলা রয়েছে। অন্যান্য সহযোগীরা হলো সোহাগ খান, আল আমিন, মিরাজ খান, পলাশ, সোহেল খান,ইউসুফ। জানা যায়-গত ১৯ জুন দিবাগত মধ্যরাতে জাকির খান ও তার সহযোগীরা নাজমা বেগমের চাচা ইসমাইল খানকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে না পেয়ে তার প্রতিবন্ধী স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৬৫)কে কুপিয়ে জখম করে। ঘর থেকে স্বর্নালঙ্কার এবং পিতার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। প্রতিবন্ধীকে কুপিয়ে জখমের মামলাটি থানায় নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
মুক্তিযোদ্ধা আশ্রাফ আলী শিকদারের মেয়ে প্রতিবন্ধী নারী ফিরোজা বেগম। এদিকে জাকির খানের অস্ত্রধারী বাহিনী এলাকায় মাদক বাণিজ্য,সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসলেও প্রশাসনের ভূমিকা নিরব থাকায় জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার রক্ষার্থে জাকির খান ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।