সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ সাংবাদিক সম্মেলনের পর এবার নিজেই নিখোঁজ ভাগনে সৈয়দ ইফতেখার আলম সৌরভকে খুঁজে বের করার ঘোষণা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকালে ফেসবুক লাইভে আসেন তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। নিয়মিত তদন্তের বিষয়ে তিনি লাইভ করার কথাও জানান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
সোহেল তাজ বলেন, তদন্তের প্রথম ধাপ হিসেবে তিনি যেখান থেকে তাঁর ভাগনে সৌরভ অপহূত হয়েছেন, সেখানে যাবেন এবং প্রত্যক্ষদর্শী লোকজনের বিবৃতি নেবেন। তিনি বলেন, ইফতেখার শুধু তার আত্মীয় নয়। সে এই দেশের ছেলে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে বিচারের মাধ্যমে সাজা হওয়াই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য। তিনি নিজে এই শিক্ষা নিয়েই বড় হয়েছেন। ফেসবুক লাইভের শুরুতে সোহেল তাজ বলেন, ‘ফেসবুকে এটাই হচ্ছে আমার প্রথম লাইভ ব্রডকাস্ট।…আপনারা সবাই জানেন আমার মামাতো বোনের ছেলে সৌরভ গত নয় দিন ধরে নিখোঁজ। তো আমরা সার্বিকভাবে চাই সৌরভকে (ইফতেখার) অক্ষত অবস্থায়, জীবিত অবস্থায়, সুস্থ অবস্থায় ফেরত চাই। তার বাবা আমার সঙ্গেই আছেন। আমার বাসায়। তো আমার পেছনে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমার মায়ের ছবি। এ বাসাতেই আমি এখন ভাড়া থাকি। কারণ বাংলাদেশে আমি অনেক সময় দিচ্ছি, কয়েকটা প্রজেক্ট করছি। কিছু ভালো কাজ করার জন্য। সেটা আগে আপনাদের জানিয়েছি। এ রকম একটা কাজের মাঝখানে এমন একটা দুর্ঘটনার সম্মুখীন আমরা হয়েছি। আমি নিজেই তদন্ত করব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করব। আমরা যতটুকু তথ্য সংগ্রহ করতে পারি, ততটুকু সংগ্রহ করে তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করব।’
এর আগে গত সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন সোহেল তাজ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইফতেখারের মা সৈয়দা ইয়াসমিন আরজুমান ও বাবা মো. ইদ্রিস আলী। সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা ছেলের দুদফা গুম হয়ে যাওয়ার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, র?্যাব-১, বনানী থানার পুলিশ ও দুটি গোয়েন্দা সংস্থার সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলেন। তাঁরা বলেন, যারা প্রথম দফায় গত ১৬ মে বনানী থেকে ইফতেখারকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারাই ফোন করে চট্টগ্রামে মিমি সুপার মার্কেটের আগোরার সামনে থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।