পরপর দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল করে বাংলাদেশকে জিতিয়ে দেশের ফুটবলের সব আলো কেড়ে নিয়েছেন তরুণ মিডফিল্ডার মোহাম্মদ রবিউল হাসান। আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের এই মিডফিল্ডার দুটি গোলই করেছেন দেশের বাইরে।
গত ৯ মার্চ নমপেনে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে রবিউলের গোলে কম্বোডিয়াকে হারায় বাংলাদেশ। ৬ জুন ভিয়েনতিয়েনে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের লাওসের বিপক্ষে প্রথম পর্বে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে টাঙ্গাইলের এই তরুণের একমাত্র গোলে। ইংলিশ কোচ জেমি ডে’র অনেক স্বপ্ন তাকে নিয়ে।
লাওসের বিরুদ্ধে তার গোলটিও ছিল দুর্দান্ত। মাঝ মাঠ থেকে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার বাড়ানো বল ধরে বক্সের মাথা থেকে অসাধারণ এক শট লাওস গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জালে প্রবেশ করে। ৭২ মিনিটে করা ওই গোল ধরে রেখে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে ঘরে ফেরে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। কৃতিত্বের পুরস্কার রবিউল পেয়েছেন দেশের ফুটবলপ্রেমীদের প্রশংসায় ভেসে। গণমাধ্যমও তার এ কৃতিত্ব প্রায় নিয়মিতই প্রকাশ করছে ফলাও করে।
শুধু কি দেশের মিডিয়ায়? রবিউলকে নিয়ে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) ওয়েবসাইটও বড় প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। যে প্রতিবেদনের শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘হাসান ওয়ান্টস মোর ফর বাংলাদেশ।’ লাওসকে হারানোর তিনদিন পর এই প্রতিবেন প্রকাশ করেছে এএফসির ওয়েবসাইট।
লাওসের বিপক্ষে প্রথম একাদশে ছিলেন না কিন্তু রবিউল। ছিলেন বদলি খেলোয়াড়। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে আরিফুর রহমানকে উঠিয়ে রবিউলকে মাঠে নামিয়েছিলেন কোচ জেমি ডে। মাঠে নামার ১৭ মিনিটের মাথায় প্রতিভাবান এ মিডফিল্ডার লাওসকে স্তব্ধ করে করে বসেন দর্শণীয় এক গোল। যে গোল বাংলাদেশকে এখন স্বপ্ন দেখাচ্ছে কাতার-২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্বে ওঠার।
‘আমি দারুণ খুশি। কারণ, আমার গোলেই দেশ জিতেছে। আমরা ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে করতে পারিনি। ভীনদেশে ঈদ পালন করেছি। খুশির ঈদের রেশ না কাটতেই দেশের মানুষকে আবার খুশি করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি দেশের জন্য আরো কিছু করতে চাই’- এএফসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন রবিউল।
রবিউলের প্রতিভার প্রশংসা করেছেন কোচ জেমি ডেও। তবে তাকে উপদেশও দিয়েছেন ধারাবাহিকতা ধরে রাখার। রবিউলের যে এখনো অনেক কিছু শেখার বাকি আছে! জেমি ডে’র বিশ্বাস রবিউল অনেক বড় ফুটবলার হতে পারবেন।