আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে নগরের শপিংমল গুলোতে মোবাইল কোর্টের অভিযান চলছে। আজ ১ জুন সকাল ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল এর সার্বিক নির্দেশনায় বরিশাল নগরীর গীর্জামহল্লা এলাকায় বিপনি-বিতান গুলোতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। শপিং কমপ্লেক্সে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উর্মি ভৌমিক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলাম।
শুরুতেই স্মার্ট ফ্যাশন নামের একটি দোকানে অভিযানকালে ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন ধরনের অসংগতি খুঁজে পায় আমদানী করা কাপড়ের বৈধ কাগজ পত্রে না থাকা। ১৫০০ টাকায় কেনা পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায় ৩ হাজার টাকা। ভ্রাম্যমাণ আদালত শপিং কমপ্লেক্সের কয়েকটি দোখানে অভিযানে পরিচালনা করে সরকারের নির্দেশনামতে পন্য বিক্রয়ের মূল্য তালিকা না থাকা, আমদানী করা কাপড়ের বৈধ কাগজ পত্রে না থাকাসহ ক্রেতা ঠকানোর নানা অসংগিত আমলে আনে। এসব অভিযোগে দায়িত্ব অবহেলা ইত্যাদি কারনে প্রাথমিক ভাবে সতর্কতার পাশাপাশি জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় নগরীর গীর্জামহল্লা এলাকায় কয়েকটি দোকানে অভিযান চালিয়ে পোশাকের ক্রয়মূল্যর চেয়ে অধিক মূল্য পোশাক বিক্রয় করা, আমদানী করা কাপড়ের বৈধ কাগজ পত্র না থাকা, ক্রয়ের ৫৪% অধিক মূল্যে কাপড় বিক্রি করা ইত্যাদি কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ এবং ৩৯ ধারায় কৃত অপরাধে চারটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
তার হলেন স্মার্ট ফ্যাশন এর ম্যানেজার মোঃ মিজানুর রহমান করে ৫,০০০ হাজার টাকা জরিমানা, বৈশাখী শেরুক এর ম্যানেজার মোঃ নুরুজ্জামান কে ১০,০০০ হাজার টাকা জরিমানা, পিটার ইংল্যান্ড এর ম্যানেজার মোঃ আবদুল কাদের কে ১০,০০০ হাজার টাকা জরিমানা, নেক্সট প্লাস এর ম্যানেজার রতন চৌধুরী কে ১৫,০০০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় প্রসিকিউশন প্রদান করেন র্যাব-৮ এর এসআই। অভিযানে চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা অর্থ জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন এএসপি দেবাশীষ কর্মকার ও র্যাব-৮ এর সদস্যরা। এই অভিযান জনস্বার্থে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।