শ্রমিক সঙ্কট নিরসনে কৃষিকাজে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ধানের কম বাজার মূল্যের বিষয়ে সরকার গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ পরামর্শ দেন তিনি।
২০১৭ সালে চাল আমদানির শুল্ক রেয়াতের পর চাহিদার অতিরিক্ত চাল আমদানি, উৎপাদন বৃদ্ধি ও শ্রমিকের অভাবে এবার ধানের মূল্য কমে গেছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এবার বোরো লক্ষ্যমাত্রা এক কোটি ৯৬ লাখ টন। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আমরা আশা করিনি এতটা উৎপাদন হবে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষকের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো শ্রমিক পাওয়া যায় না। তিনবেলা খাবারের সঙ্গে ৬০০-৭০০ টাকা দিয়ে কামলা রাখতে হয়। এ কামলার টাকা দিয়ে কিছুতেই ধান কাটতে পারছে না, অস্বাভাবিকভাবে চাষির উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।’
‘এর কী সমাধান। কতগুলো পত্রিকায় প্রতিদিনই লেখে, একটি পত্রিকাও আজ পর্যন্ত এর কী সমাধান তা লেখেনি,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘কৃষিকাজে কেউ আসতে চায় না। শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা কাজ করে না। কারও কোনো অভাব নেই। তাই কেউ মাঠে যাবে না।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপের দেশগুলোতে গ্রীষ্মকালে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকে। মূল কারণ হলো এ সময় ছেলেমেয়েরা গিয়ে কাজ করে, তারা মাঠেও কাজ করে। আপনারাও চিন্তা করেন, এ ধরনের চিন্তা আমরা ভবিষ্যতে করব কিনা। শ্রমের মর্যাদা, যেকোনো কাজ…. নিচের ক্লাসের নয়, এইট, নাইট, টেন কিংবা এইচএসসি লেভেলের ছাত্রদের আমরা ২০-২৫ দিন স্কুল বন্ধ রেখে….২০-২৫ দিন স্কুল বন্ধ রাখলে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। ছেলেমেয়েরা কাজ করবে, এটা হতে পারে।’