জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীর পা ভেঙ্গে দিয়েছে এলাকার চিহ্নিত বখাটে।
বখাটের হামলা ঠেকাতে গিয়ে ওই ছাত্রীর চাচী সেলিনা বেগম (৪০) ও চাচাত ভাই সোহেল বেপারী (১৭) গুরুতর আহত হয়ে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রবিবার দুপুরে আগৈলঝাড়া হাসপাতাল কম্পাউন্ডে বসে আহতর চাচী নিলুফা বেগম জানান, ২১ মে বিকেলে বাকাল গ্রামের মনু বাড়ৈর খেপাটে কুকুরে তার নাবালক শিশুকে তাড়া করলে তার (নিলুফা) স্বামী ফারুক বেপারী ওই কুকুরটিকে কয়েকটি পিটান দিয়ে তাড়া করে দেয়।
এ ঘটনার সূত্রধরে কুকুর মালিক মনু বাড়ৈ ও তার লোকজন মিলে ফারুক বেপারীর উপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়।
তিনি আরও জানান, একই ঘটনার জের ধরে ওইদিন ইফতারির আগমূহুর্তে মনু বাড়ৈর ভাতিজা বখাটে তমাল বাড়ৈ ও তার সহযোগিরা ফারুক বেপারী ভাতিজী ও ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমীকে রান্না ঘর থেকে বের পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয়। এসময় হামলা ঠেকাতে গিয়ে সুমীর চাচী ও চাচাত ভাই আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত স্কুল ছাত্রী সুমি আক্তার (১৫) কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান, সে ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেনা। অথচ তাকে রান্না ঘর থেকে বের করে পিটিয়ে বাম পা ভেঙ্গে দিয়েছে বখাটে তমাল ও তার সহযোগীরা। এঘটনায় তার স্কুল জীবন হুমকীর মুখে পরেছে। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি এঘটনার বিচার দাবী করেন।