পটুয়াখালীর গলাচিপায় দীপা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। নিহত দীপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের উলানিয়া বন্দরের মিজানুর রহমান মৃধার মেয়ে।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে নিহত গৃহবধূ দীপার বড় ছেলে আতিকুর রহমান অন্তর তার মাকে ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখে তৎক্ষণাৎ গলার ফিতা কেটে দেয়। পরে অন্তরের ডাক-চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এসে গৃহবধূকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডা. ইমাম হোসেন গৃহবধূ দীপাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডা. ইমাম হোসেন গলাচিপা থানায় খবর দিলে পুলিশ গৃহবধূর লাশ থানায় নিয়ে যায়।
আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে নিহত গৃহবধূর পিতা মিজানুর রহমান মৃধা বলেন, আমার মেয়ে দীর্ঘদিন যাবত প্রচন্ড মাথা ব্যথার যন্ত্রণায় ভুগছিল। তার মাথাব্যথার চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার জন্য আমার কাছে প্রায়ই টাকা চাইত। আমি সেই টাকা না দিতে পারায় সে মনের কষ্টে এ আত্মহত্যা করতে পারে।
এ বিষয়ে এসআই ভাস্কর বলেন, গৃহবধূ দীপা তার নিজ ভাড়া ঘরের দোতলায় আড়ার সাথে কাপড়ের বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালীর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিহত গৃহবধূর উলানিয়া বন্দরে একটি গার্মেন্টেস এর দোকান ছিল। সেই দোকানে তিনি নিজের বাবাকে দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করাতেন। আরও জানা গেছে, স্বামী পরিত্যক্তা ওই গৃহবধূর আতিকুর রহমান অন্তর (১২) ও জুবায়ের রহমান পার্থ (৬) নামে দু’টি ছেলে রয়েছে।