বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি ও মাইনরিটি ওয়াচের চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড.রবীন্দ্র ঘোষসহ তার অপর ২ সহযোগীকে থানায় দীর্ঘ ১১ ঘন্টা আটক রেখে হয়রানির অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানার ওসি গোলাম সরোয়ারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে (রিট নং-৫৮৩৫)।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল হাসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের দ্বৈত বেঞ্চে রিটটি দায়ের করেন মাইনরটি ওয়াচের চেয়ারম্যান এ্যাড.রবীন্দ্র ঘোষ। রিটে অন্যান্য যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেনঃ স্বরাষ্ট্র সচীব, পুলিশের আইজিপি,বরিশালের পুলিশের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার।
আদালত রিটটি গ্রহন করে দেশের প্রথম শ্রেণীর একজন নাগরিক সিনিয়র আইনজীবি, মানবাধিকার কর্মী তার ২ সহযোগীকে কেন বিনা দোষে দীর্ঘক্ষণ থানায় আটক রেখে হয়রানি করা হয়েছে ? স্বরাষ্ট্র সচীব, পুলিশের আইজিপি,বরিশালের পুলিশের ডিআইজি,জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। একই সাথে হয়রানির বিষয়টি তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার জন্য পুলিশের আইজিপির প্রতি নির্দেশ প্রদান করেছেন হাইকোর্ট।
মাইনরিটি ওয়াচের চেয়ারম্যান এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ ঘোষ হাইকোর্টে দায়েরকৃত ২৩ পৃষ্ঠার রিটে উল্লেখ করেন, গৌরনদী এলাকার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের মাইনারটি পরিবারের স্কুল ছাত্র সৌরভ মন্ডল (১০) হত্যাকান্ড ও সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি মন্দির ভাঙ্গার ঘটনার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে ১ মে দুই সহযোগীকে নিয়ে তিনি থানায় গেলে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোযার বেলা ১১ টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত দীর্ঘ ১১ ঘন্টা বরিশালের গৌরনদী মডেল থানায় তাদের আটকে রাখে।
এর আগে তাদের তিন জনের মোবাইল ও ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে এএসআই সোহাগ তাদের ধাক্কাতে ধাক্কাতে ওসির রুম থেকে বের করে ওসি তদন্তে রুমে নিয়ে যান। অবশেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতায় রাত সাড়ে দশটায় তারা মুক্তি পান।
এ প্রসঙ্গে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, রিট সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। তবে এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ ঘোষ আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তার কোন সত্যতা নেই। আমার কাছে তথ্য চাওয়ায় আমি তার পরিচয় নিশ্চিত হতে চাইলে সে উত্তেজিত হয়েছিলেন।