রবিবার , ১৯ মে ২০১৯ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

‘ভুয়া স্ত্রীর‘ নারী নির্যাতন মামলায় জেল খাটলো বরিশালের সাজ্জাদুল হক

প্রতিবেদক
Alltime BD News24 .com
মে ১৯, ২০১৯ ৭:৪৭ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক : ভুয়া স্ত্রী করেছে এক গায়েবী নারী নির্যাতন মামলা। এমন মামলার যে আইনজীবী- তারও কোন হদিস নেই। তারপরও জেল খাটতে হলো বরিশাল নার্সিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক সাজ্জাদুল হককে। পাবলিক প্রসিকিউটর জানালেন, প্রতারকরা এভাবে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করে, অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। আরো জানাচ্ছেন দিপন দেওয়ান, ছবি তুলেছেন কামরুল হাসান।

বরিশাল নার্সিং ইন্সটিটিউটের পরিচালক সাজ্জাদুল হকের বাসায় ১৬ এপ্রিল হঠাৎ করেই পুলিশের আগমন। অভিযোগ তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা তার বিরুদ্ধে করেছেন নারী নির্যাতনের মামলা। আকাশ থেকে পড়লেন সাজ্জাদ। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করলেন কবে? কিন্তু কে শোনে কার কথা। গায়েবী মামলায় জেলে যেতে হলো তাকে। আটদিন জেল খেটে জামিনে বের হয়েই খোঁজ করলেন মামলার বাদী, ভুয়া দ্বিতীয় স্ত্রী’র। কিন্তু দেখা মিললো না, সবকিছু যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে।

মামলার নথিপত্রের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নেমে অবিশ্বাস্য তথ্য পায় । দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে মামলা করেছে রুনা, বাস্তবে তার কোন অস্তিত্বই নেই। বাদী হিসাবে সে ব্যবহার করেছে কেরানীগঞ্জের আরশীনগরে বি ব্লকে ৫ নাম্বার বাসার ঠিকানা। বাস্তবে এরকম কোন বাসাই নেই। রুনার বাবা, মা, এমনকি সাক্ষী হিসাবে যাদের নাম ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে- তাদেরকেও চেনে না কেউ।

মামলায় সাজ্জাদের সাথে রুনার বিয়ের যে কাবিননামা দেয়া হয়েছে, সেটিও ভূয়া। কাবিননামায় লালমাটিয়ার যে কাজীর নাম ও সাক্ষর দেখানো হয়েছে, তিনি বিয়ে পড়ানো থেকে অবসর নিয়েছেন ২০০৪ সালে। মামলায় সাজ্জাদের দ্বিতীয় বিয়ের সময় দেখানো হয়েছে মার্চ-২০১৫। যে তারিখে বিয়ে রেজিস্টারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেই তারিখে ঐ কাজী অফিসে কোন বিয়েই হয়নি।

বাদীর আইনজীবী খায়রুল আমিনের যে নাম্বার দেয়া হয়েছে, তাও ভূয়া। মামলার নথিতে আইনজীবীর সিলের দেয়া ঠিকানাতেও খোঁজ মেলেনি খায়রুল আমিনের। তবে, মামলায় জুডিশিয়ায় ম্যাজিস্ট্রেট শাহাজাদী তাহমিদা আদালতে দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছেন, বাদী ও সাক্ষীদের জবানবন্দি অনুযায়ী মামলার তথ্য সঠিক।

এতোসব ভূয়া তথ্য দিয়ে যে মামলা করা হয়েছে সেটি কিভাবে সঠিক হয়- এমন প্রশ্নের উত্তর দিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু। আগামী ২৩ মে নিম্ন আদালতে এই মামলার শুনানী রয়েছে। ক্ষতি যা হয়েছে তা হয়ত পূরণ হবে না, কিন্তু আদালতের কাছে সুবিচার প্রত্যাশা সাজ্জাদুল হকের।

(Visited ২ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি