সম্প্রতি লিংকডইনের এক কলামে ফিনটেকের তথ্য বিশ্লেষক ডেভিড শ্রেয়ার বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান অবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের উদ্যমী আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের অধীনে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে চলেছে। তার বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া তিনি স্টার্টআপ বিষয়ে তরুণদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। তার অধীনে আইসিটি বিভাগও এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি ফেসবুক লাইভ ভিডিও প্রচার করেছে যেগুলো মূলত উদ্ভাবনী আইডিয়া সম্পর্কিত।
এরপর শ্রেয়ার তার লেখায় স্টার্টআপে সফল না হওয়ার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং সফল করতে হলে যেসব বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন সেসব বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তার উল্লেখিত কয়েকটি দিকনির্দেশনা হলো-
সচেতনতা বৃদ্ধি: তরুণদের মধ্যে স্টার্টআপ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াস চালাতে হবে। এটা প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে করা যেতে পারে। সচেতনতা বিষয়ক এসব কাজের ফলে তরুণরা স্টার্টআপ সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পাবে। ফলে প্রযুক্তি ক্ষেত্রের বড় বড় চাকরি ছেড়ে নতুন সব প্রতিষ্ঠানে আগ্রহী হবে।
ব্যর্থতা সহ্য করার মানসিকতা: স্টার্টআপের ক্ষেত্রে একটি প্রধান বাঁধা হলো ভয়। ব্যর্থতার ভয়ে অনেকেই এর সঙ্গে যুক্ত হতে চান না। ব্যর্থতা যে সব সময় নেতিবাচক হয় তা নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা ইতিবাচকও হতে পারে। কেননা বারবার ব্যর্থ হওয়ার পরই একজন মানুষ বেছে নিতে পারে সঠিক পথ। এ সম্পর্কে শ্রেয়ার মজার একটি কথা উল্লেখ করেন। কথাটি হলো- আমি ব্যর্থ হইনি; আমি শুধু ১০ হাজার উপায় খুঁজে পেয়েছি যেগুলো কাজ করেনি।
অর্থ-সংস্থান: শুরুর দিকে স্টার্টআপে অর্থ সংস্থান হলেও যদি আইডিয়াটি বাজারে জনপ্রিয়তা লাভ করে তাহলে পরবর্তী সময়ে অনেক অর্থের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে তরুণ উদ্যোক্তারা কোথা থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে দৃষ্টি দিতে হবে।
সূত্র: লিংকডইন