অনলাইন ডেস্ক : ঝালকাঠির রাজাপুরের সাবেক কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা মো. ওয়াদুদ মৃধা (৬২) ৫ মে থেকে নিখোঁজ রয়েছে। গত ১০ দিনে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাননি স্বজনরা। নিখোঁজ ব্যক্তির বোন জাহানারা বেগম, আনোয়ারা বেগম ও চামেলী বেগমের দাবি, তাদের ভাইয়ের অবসর ভাতার টাকা ও পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য স্ত্রী জেসমিন বেগম ওয়াদুদকে হত্যা করে লাশ গুম করে রেখেছে। রাজাপুর প্রেস ক্লাবে আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ২০০৯ সালে স্বজনদের না জানিয়ে কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা ওয়াদুদ মৃধা ঝালকাঠির পালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা দুই সন্তানের জননী জেসমিন বেগমকে বিয়ে করেন। এরপর রাজাপুরের বাড়িতে জেসমিনের দুই সন্তানসহ ওয়াদুদ এক বছর বসবাস করেন। এর কিছুদিন পর জেসমিনের আগের স্বামীও তাদের সাথে এসে থাকতে শুরু করেন। বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছে অসামাজিক মনে হওয়ায় সবার অজান্তে তারা ঝালকাঠিতে চলে যান। বিয়ের পর থেকেই নিরীহ প্রকৃতির ওয়াদুদের ওপর বিভিন্ন বাহানায় নির্যাতন করত স্ত্রী জেসমিন ও তাঁর সাবেক স্বামী। গত বছর ওয়াদুদ মৃধা কৃষি ব্যাংকের হিসাবরক্ষক পদ থেকে ঐচ্ছিক অবসর গ্রহণ করেন। সম্প্রতি তিনি অবসর ভাতার ২০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। এরপর থেকেই ওয়াদুদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
লিখিত বক্তব্যে বোনেরা আরো বলেন, বিবাহিত জীবনের ১০ বছরেও ওয়াদুদ ও জেসমিনের ঘরে কোনো সন্তান নেই। তাই ভাইয়ের টাকা ও পৈতৃক সম্পত্তি আত্মসাৎ করতেই ওয়াদুদকে হত্যা করে লাশ গুম করে রেখেছে স্ত্রী জেসমিন। এ ছাড়া ওয়াদুদের পৈতৃক সম্পত্তির একটি বড় অংশ বিক্রি করিয়ে ইতিপূর্বে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জেসমিন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেসমিন বেগম বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা। আমার স্বামী নিখোঁজ হওয়ার একদিন পরেই আমি ঝালকাঠি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। আমার স্বামীর পৈতৃক সম্পত্তি তাঁর বোন ও ভাগ্নেরা ভোগ করে। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন।
জানতে চাইলে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, সাধারণ ডায়েরি করার পরপরই নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে দেশের সব থানায় বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত আছে।