স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হয়ে গেলেও একটি ব্রিজের অপেক্ষায় এখনও দিনকাটে জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন ও মাদারীপুর জেলার ডাসার থানার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ ভাউতলী গ্রামের পাঁচ হাজার বাসিন্দাদের।
প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ ওই সাঁকো দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও জনসাধারণকে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। ভূক্তভোগিরা জরুরি ভিত্তিতে ওই এলাকায় একটি ব্রিজ নির্মানের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কাজী বাকাই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোতালেব সরদার, সমাজ সেবক মিজান চৌধুরী, নেছার উদ্দিনসহ একাধিক প্রবীন বাসিন্দারা জানান, ডাসার থানার দক্ষিণ ভাউতলী গ্রামের বাসিন্দাদের মাদারীপুর জেলা সদরে যাতায়ত করতে হলে গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মেদাকুল গ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
তাছাড়া ওই গ্রামের মধ্যে ভাল কোন স্কুল কিংবা বাজার না থাকায় পাশর্^বর্তী খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের মেদাকুল স্কুল ও বাজারে যাতায়াত করতে হয় মাদারীপুর-বরিশাল সীমান্তের খালের ওপরের দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো দিয়ে। তারা আরও জানান, বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত হতে গিয়ে ইতোমধ্যে অসংখ্য শিক্ষার্থী ও প্রবীণ ব্যক্তিরা আহত হয়েছে। কিন্তু খালটি সীমান্তবর্তী হওয়ায় কেউই এখানে ব্রিজ নির্মানে এগিয়ে আসেনি।
দক্ষিণ ভাউতলী গ্রামের ইউপি সদস্য শাহেদ আলী জানান, ভাউতলী গ্রামের শিক্ষার্থী ও সাধারণ বাসিন্দাদের যাতায়াত পাশ্ববর্তী মেদাকুল স্কুল ও বাজারে। অথচ খালটি বরিশাল-মাদারীপুরের সীমানা নির্ধারণ করায় কোন কর্তৃপক্ষই ব্রিজটি নির্মানে এগিয়ে আসেনি। ভূক্তভোগিরা জরুরি ভিত্তিতে ওই খালের ওপর একটি ব্রিজ নির্মানের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।