তিনি দলের সাথে যাননি, আলাদা যাবেন-এ খবর চাউর হয়ে গিয়েছিল আজ (বুধবার) সকাল থেকেই। শেষ পর্যন্ত স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরসহ সপরিবারে আজ রাত পৌনে আটটায় (৭টা ৪০ মিনিটে ঢাকা-দোহা ফ্লাইট) কাতার এয়ারওয়েজে চড়ে ডাবলিনের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন সাকিব আল হাসান। দোহা থেকে সরাসরি কাতার এয়ারওয়েজেই ডাবলিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তিনি।
সোমবার বিশ্বকাপ দলের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে অংশ নেননি সাকিব। তা নিয়ে সারাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে একটা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তারওপর জাতীয় দলের বহরের সঙ্গী না হয়ে সাকিবের আলাদা যাওয়াটাও বড় প্রশ্নের উদ্রেক ঘটিয়েছে।
এর সাথে যোগ হয়েছে স্ত্রী শিশিরের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস। যেখানে সাকিবের স্ত্রী ক্রীড়া সাংবাদিক তথা ক্রিকেট লিখিয়েদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তা নিয়েও একটা গুমোট পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে।
সবমিলিয়ে একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতেই সাকিবের দেশত্যাগ, আয়ারল্যান্ডে তিনজাতি ক্রিকেট ও বিশ্বকাপ যাত্রা। তবে মাঠের সফল ও সাহসী যোদ্ধা সাকিব কোনো কিছুকেই নেতিবাচকভাবে দেখছেন না, তার প্রমাণ আজ সন্ধ্যায় নিজে গাড়ি ড্রাইভ করেই হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসেছিলেন। বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রথমে কথা বলতে না চাইলেও পরে শুধু বিশ্বকাপ নিয়ে বলতে রাজি হয়েছেন।
সেখানেই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন- আপনার বিশ্বকাপ প্রস্তুতি কেমন এবং ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে লক্ষ্য পরিকল্পনা কি? সাকিবের সংক্ষিপ্ত অথচ চোয়াল শক্ত করা জবাব, ‘আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব প্রস্তুতি নেয়ার, আমি তা নিয়েছি। বলতে পারেন সর্বোচ্চ প্রস্তুতিই নিয়েছি। এখন জায়গামতো সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দেয়ার চেষ্টা থাকবে।
বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেলবে বা সেরা চারে জায়গা করে নেবে- এ সম্পর্কে আপনার মতামত কি? এমন প্রশ্নে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ, ‘আমিও বিশ্বাস করি, সেমিফাইনাল খেলাটা অসম্ভব নয়। তবে ফরমেটের কারণে বেশ কঠিন।’
কঠিন বলতে সাকিব বুঝিয়েছেন, দশ দলের মধ্যে সবার সাথে খেলে সেরা চারে জায়গা করে নেয়াটা সহজ নয় একদমই। এবারের ফরমেটটা হচ্ছে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের মতো। অংশগ্রহণকারী ১০ দল থেকে চারটি দল সরাসরি উঠবে সেমিফাইনালে।