জেলে যাওয়া মহানগর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জাহিদুর রহমান মনির মোল্লা নগরীর রূপাতলী ২৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত ইছাহাক মোল্লার ছেলে। তার ভাই জাকির মোল্লা একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
এদিকে মনির মোল্লাকে পুলিশ গ্রেফতার করে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাবার ছবি তুলতে গেলে গেছে তার সহযোগিদের বাধার মুখে পড়তে হয় সাংবাদিকদের। এমনকি আদালত চত্ত্বরে উচ্চ শ্বরে সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি ও ক্যামেরা নিয়ে টানা হেচড়া করে মনির মোল্লার মাদক ব্যবসার সহযোগিরা।
বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানাগেছে, ‘২০১৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নগরীর রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ওজোপাডিকো গেটের সামনে থেকে জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে ৫২ পিচ ইয়াবাসহ আটক করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওজোপাডিকোর রেষ্ট হাউসে তারই কক্ষ থেকে ২’শত পিচ ইয়াবাসহ কামরুল ইসলাম ও ১’শত পিচ ইয়াবাসহ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলামকে আটক করে তারা।
একই সময় রেষ্ট হাউজে মনির মোল্লার বিছার নীচ থেকে আরো একশ পিস সহ মোট ৪৫২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। ওই সময় মনির মোল্লা ঘটনাস্থলে থাকলেও তাকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে আদালতের বিচারক স্বপ্রণদিত হয়ে এ বিষয়ে তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে এই ঘটনায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
তার দেয়া দুটি মাদক মামলার চার্জশিটে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মনির মোল্লাকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে আসামী মনির মোল্লা আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়। দীর্ঘ দিন পালাতক থাকার পরে সর্বশেষ রোববার তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচার তাকে জেলে প্রেরনের নির্দেশ দেন।