সাভার প্রতিনিধি : সিলেট শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের হামলায় আহত খাদিজা আক্তার নার্গিস প্রায় তিন মাস সাভারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় সিআরপি’র চিকিৎসক সাঈদ উদ্দিন হেলালসহ জৈষ্ঠ কর্মকর্তারা খাদিজাকে পরিবারের সদস্যদের সাথে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেন। অ্যাম্বুলেন্সটি তাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে বিমানে করে দুপুর একটার দিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান খাদিজা ও তার পরিবারের সদস্যরা। এরপর একটি মাইক্রোবাসে করে দুপুর দুইটার দিকে সিলেটে সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার নিজ গ্রাম হাউশায় পৌঁছান তারা।
খাদিজার বড় ভাই শাহিন আহম্মেদ দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ‘দীর্ঘ দিনের চিকিৎসা শেষে খাদিজাকে নিয়ে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরেছি। এখানে পৌঁছার পর তাকে দেখার জন্য এলাকাবাসীসহ প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনেরা বাড়িতে ভীর জমাচ্ছেন। খাদিজা এখন নিজের সকল কাজ নিজেই করতে পারছে। তাকে সুস্থ করে তোলায় চিকিৎসকসহ সকলের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’
খাদিজার চিকিৎসক ডা. সাঈদ উদ্দিন হেলাল বলেছেন, ‘আমাদের এখানে আসার পর ডাক্তার, ফিজিওথেরাপিস্ট, অকুপেশনালথেরাপিস্ট এবং কাউন্সিলরদের নিয়ে আট সদস্যের একটি বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। এই বিশেষ টিমের পরিকল্পনা অনুযায়ী তিন মাসের চিকিৎসার পর খাদিজা এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছে। তবে প্রাথমিকভাবে খাদিজা সুস্থ হয়ে বাড়িতে চলে গেলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে তার আরও প্রায় ৫ বছর লেগে যাবে। তাই এখন থেকে আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী সিলেটের সিআরপি শাখায় খাদিজার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় গত বছরের ৩ অক্টোবর শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে খাদিজাকে। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরবর্তীতে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খাদিজাকে। সেখানে প্রায় ২ মাস ধরে কয়েকটি অপারেশনের পর পুনর্বাসনের জন্য সাভারের সিআরপিতে পাঠানো হয়। সিআরপি’র মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিমের চিকিৎসা সেবা নিয়ে খাদিজা নিজ গ্রাম হাউশায় ফিরে গেলেন শুক্রবার।